নোবিপ্রবিতে করোনাকালীন শিক্ষকদের আন্দোলনে ক্ষতি কাটেনি, শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা

এস আহমেদ ফাহিম, নোবিপ্রবি জুলাই ১, ২০২১, ১২:১৬ এএম
ফাইল ছবি

নোয়াখালীঃ করোনা পরিস্থিতিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(নোবিপ্রবি) এর  অনলাইন শিক্ষা-কার্যক্রম ২০২০ সালের ৩০জুন থেকে  শুরু হলেও ১ অক্টোবর থেকে ৭৬ দিন তা বন্ধ থাকে।

নোবিপ্রবির নিয়োগে শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে এসময় আন্দোলনে নামে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।এতে শিক্ষা-কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পিছিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।পরবর্তীতে ১৫ ডিসেম্বর  আন্দোলন প্রত্যাহার করে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও তা করা হয় নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।


দীর্ঘদিনের বন্ধে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাপক ব্যাহত হয়েছে। এতে সেশনজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়েছে তারা।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,শিক্ষকদের এই আন্দোলনের মাধ্যমে করোনায় নানামুখী ক্ষতির সম্মুখীন শিক্ষার্থীদের আরো পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইন কার্যক্রমের মাধ্যমে এগিয়ে গেলেও নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানায়, গতবছরে (২০২০ সালে) থার্ড ইয়ারের ২য় সেমিস্টার এর ক্লাস শুরু করা কথা থাকলেও শিক্ষকদের আন্দোলনে দেরিতে শুরু হয় এবং প্রায় সম্পূর্ণ ক্লাস এখনো বাকি। এমনকি ওই ইয়ারের ১ম সেমিস্টারের ক্লাসগুলোও এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভাবে শেষ করা হয়নি। তাহলে কিভাবে পুষিয়ে দেয়া হচ্ছে আসলে? শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী এ বছর অনার্স শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন তা স্বপ্ন! গত ফ্রেবুয়ারী থেকে পরিক্ষা হবে হবে বলেও এখনো পরিক্ষার বিষয়ে আমার বিভাগ কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।

বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বলেন, বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে সবগুলোই ছাত্র-ছাত্রীদের বিপক্ষে ছিল। শিক্ষকরা যখন কর্মবিরতিতে যায় তখন পুরোদমে অনলাইনে ক্লাস চলছিল। আমি মনে করি এই সময় কর্মবিরতিতে না গেলে এবং সরকারি ঘোষণার আলোকে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নিলে এখন পযর্ন্ত অন্তত অনেকটাই এগিয়ে যেতাম আমরা। যেখানে দেশের প্রায় বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিষয়ে কোন নিশ্চয়তা নাই।

এফটিএনএস  বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান মিশকাত বলেন, করোনার কারনে মাস্টার্স ২ বছরেও শেষ করতে পারিনি। জব করতাম জবটাও ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি গত ফেব্রুয়ারিতে এক্সাম হওয়ার কথা থাকলেও হয় নি। এখন আমি জবলেস,  হতাশা কাজ করে অনেক।

কিভাবো ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে এমন প্রশ্নে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে  বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। আটকে থাকা সেমিস্টারের পরীক্ষাগুলো পর্যায়ক্রমে দ্রুত শেষ করা হবে এবং নতুন সেমিস্টারগুলোও দ্রুত শেষ করে দেয়া হবে।