বেরোবি ভিসির শাস্তি ও দুর্নীতির সহযোগীদের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

শিহাব মন্ডল,বেরোবি প্রতিনিধি জুন ১, ২০২১, ০৫:৫২ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

রংপুরঃ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়(বেরোবি) কে দুর্নীতি ও সেশনজট মুক্ত এবং উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ও তার দুর্নীতির সহযোগী উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার ও রেজিস্টারের অপসারণের দাবিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ,বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে  মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১লা জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ০২নং গেটের সামনে এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রশিদুল হকের সঞ্চালনায় ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ সভাপতি ও রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নুরুজ্জামান খান,গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মাহমুদুল হক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া,সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ফয়সাল আজম ফাইন,স্টুডেন্ট রাইটস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ আহমেদ প্রমুখ।

মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ও তার সহযোগীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে অচলাবস্থায় পরিণত করেছেন। ভিসিসহ তার সংঘবন্ধ চক্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানকে ধ্বংস করেছেন। ইউজিসি এর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও  বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং করেননি। কোন সিদ্ধান্ত দেন নি। অবিলম্বে ভিসিসহ তার সহযোগী সকলের শাস্তি ও অপসারণ করতে হেব।

মানববন্ধন শেষে উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অফিসে আসায় তার পিএস আমিনুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একাংশ।

গণিত বিভাগের শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, ‘পরিপত্র অনুযায়ী ভিসির মেয়াদ গতকাল শেষ হয়েছে। ভিসি নাই তো পিএস কীসের? আমরা তাকে স্বসম্মানে রুম থেকে বের হতে বলেছি। উনি বের হননি।’

লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক আসাদ মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের অনেকের জীবন শেষ করে দিয়েছে এই আমিনুর রহমান। ভিসি নাই, উনি এখনও কেন চেয়ারে? উনার লজ্জা নেই। আমিনুর নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএস দাবি করছেন। এটি লজ্জাজনক ও হাস্যকর।’

এ বিষয়ে পিএস আমিনুর বলেন, ‘আমার কক্ষে তারা এসেছেন। আমি বলেছি আপনাদের কথায় আমি অফিস ত্যাগ করতে পারি না। তাই আমি নির্দিষ্ট সময় অফিস করব। মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।’