দিনাজপুরঃ জেলার পার্বতীপুরে বিএড পাশের জাল সনদের দায়ে অভিযুক্ত পার্বতীপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানিক কুমার রায় আজ ১৩ এপ্রিল তার বিএড পাশের প্রকৃত সনদ প্রদর্শনের শেষ সুযোগ পাচ্ছেন। তিনি তা করতে ব্যর্থ হলে আজই তার বিরুদ্ধে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, ২০০০ সালে পার্বতীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কাব্যতীর্থ সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন মানিক কুমার রায়। পরে তিনি ২০১২ সালে একই বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। এখানকার সহকারী শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ২০১৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর তিনি পার্বতীপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রদান শিক্ষক পদে যোগদান করেন।
এখানে যোগদানের পর প্রধান শিক্ষক পদে এমপিও ভুক্তির জন্য তিনি ২০২০ সালে ২৯ মে, ২৭ জুন, ২ আগষ্ট, ৪ অক্টোবর ও ৩ ডিসেম্বর এবং ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী তিনি মোট ৬ বার অনলাইনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু প্রতিবারই তার আবেদন প্রত্যাখাত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের রংপুর কার্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে- প্রধান শিক্ষক হিসাবে মানিক রায়ের আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত বিএড পাশের ( ২০০৭ সাল) সনদপত্রের অস্তিত্ব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া না যাওয়ায় সনদপত্রটি জাল বলে তারা নিশ্চিত করেন।
পার্বতীপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুল ওহাব সরকার বলেন, ইতিপূর্বে দু’দফা বিএড পাশের মূল সনদপত্র প্রদর্শনের জন্য প্রধান শিক্ষককে নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা দেখাতে ব্যর্থ হন। আগামী ১৩ এপ্রিল তাঁকে মূল সনদপত্র উপস্থাপনের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এদিন তিনি মূল সনদপত্র প্রদর্শনে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আগামীনিউজ/এএস