ভ্যাকসিন পাচ্ছে না জবির শিক্ষার্থীরা 

আতিক ইয়াসির সিয়াম, জবি প্রতিনিধি মার্চ ২৫, ২০২১, ০৮:৩৪ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিবন্ধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পদক্ষেপ নিলেও, শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের জন্য নেয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। 

দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে করোনার টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করলে হাতগুটিয়ে রয়েছে জবি প্রশাসন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে তারা বিভাগগুলোকে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে, তবে বিভাগীয় প্রধানরা বলছেন ভিন্ন কথা। ফলে অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয় এবং এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় হতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

এ দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল আগামী ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা হবে আর আবাসিক হলগুলো ১৭ মে খোলা হবে এবং তার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতাধীন আনতে হবে।আর এই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার জন্য আবেদন ফরম দেওয়া হয়েছে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল আইডির মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীকে নিবন্ধনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন করা হচ্ছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তবে এর আগে শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকার তালিকা চেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে সকল শিক্ষার্থীর টিকা নিশ্চিতে করতে ও বিভিন্ন ভোগান্তির বিষয় গণমাধ্যমে  তুলে ধরা হলে এরপর সকল শিক্ষার্থীর তালিকা চাওয়া হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ব্যবস্হা না থাকায়,শিক্ষার্থীদের মেসে-হোস্টেলে থাকতে হয়।বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর টিকা না নেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়ে যায়,যেহেতু মেসে কিংবা হোস্টেলে বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা একসাথে বসবাস করে।আর তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য হল নির্মাণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর হলে ছাত্রীদের উঠানো হবে,তাহলে ছাত্রীরা যদি টিকার আওতাধীন না আসে তাহলে সেখানেও সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়।

শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের ব্যাপারে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান বলেন,বিভাগগুলোতে শিক্ষার্থীদের নাম,এনআইডির তালিকা চাওয়া হয়েছে।  কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তাহলে আমি চেক করতেছি। 

এদিকে বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা বলছেন ভিন্ন কথা,তাঁরা বলছেন শিক্ষার্থীদের তালিকার ব্যাপারে প্রশাসন থেকে কোনো নোটিশ বিভাগে আসেনি।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.নূর মোহাম্মদের কাছে জানতে চাওয়া হলে বলেন, আমাদের কাছে শিক্ষকদের তথ্যের তালিকা চাওয়া হয়েছে, আমরা সেটা দিয়েছি তবে শিক্ষার্থীদের তালিকার ব্যাপারে কোনো প্রজ্ঞাপন আসেনি।

ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মহিউদ্দিন ফরিদ জানান, এখন পর্যন্ত টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের কোনো তালিকা চাওয়া হয়নি।

আগামীনিউজ/মালেক