হলগুলোতে আবারও তালা

শিক্ষামন্ত্রী ও জাবি উপাচার্যের বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১, ০৯:০১ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হল খুলে দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন উপাচার্য। শনিবার সন্ধ্যায় এ সভা শুরু হয়।

বিকেলে আবাসিক হলগুলোতে আবারও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে দুপুরে হল খোলাসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে আল বেরুনি, ফয়জুন্নেসা, ফজিলাতুন্নেছা, খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা, জাহানারা ইমাম, প্রীতিলতা, সুফিয়া কামাল, বঙ্গমাতা হলের তালা ভাঙেন  তারা।

এ সময় দুটি দাবি মেনে নিলেও হল খোলার ব্যাপারে ‘রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা’ ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব না বলে শিক্ষার্থীদের জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান। প্রক্টরের এই ঘোষণার পরেই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন।এরই মধ্যে প্রশাসনের মেনে নেওয়া দাবি দুটি হলো-আহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ফটক ও প্রাচীর নির্মাণ করা।

বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙেছে। তবে আমরা জেনেছি তারা হলে অবস্থান করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বৈঠক চলছে, এরপরেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আমরা পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে ওপর মহলে আলোচনা হচ্ছে। সরকার যখন সিদ্ধান্ত দেবে, তখন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের ওপর। হল খোলার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।”

সিন্ডিকেট সভা শেষ করে সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ও ইউজিসির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন উপাচার্য। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেওয়া হবে কি হবে না-এ বিষয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান। কিন্তু সেখানে হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসলে হলে প্রবেশ করা শিক্ষার্থীদের কি হবে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা বার বার শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করব যাতে তারা হল ছেড়ে দেয়। আমরা আশা করব, তারা রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবে।”

ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকা শিক্ষার্থীদের জন্য এখন নিরাপদ না। হলে ওঠা শিক্ষার্থীরা বের হয়ে কোথায় যাবে- সবার সম্মিলিত চেষ্টায় ভালো সমাধান আসবে বলেই মনে করেন তিনি। 

ফিরোজ উল হাসান আরও বলেন, “আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্তে যাই নি। আগে আলোচনা হোক, দেখা যাক সেখানে কি সিদ্ধান্ত আসে। তারপর সবার জন্য যেটা ভালো, আমরা সেটাই করব।”

আগামীনিউজ/নাসির