বেসরকারি শিক্ষকদের পেনশনের টাকায় চলে কল্যাণ ট্রাস্টে কর্মরতদের ঘর-সংসার

ডেস্ক রিপোর্ট ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১, ০১:৫২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসর জীবন আরাম আয়েশে কাটানোর জন্য প্রতি মাসে বেতন থেকে ৬ শতাংশ টাকা অবসর সুবিধা বোর্ডে এবং ৪ শতাংশ টাকা কল্যাণ ট্রাস্টে জমা দেন। পুরো চাকরি জীবনে জমানো এই টাকা অবসরের পর শিক্ষক-কর্মচারীরা উত্তোলন করার কথা থাকলেও কখনোই তারা সময়মতো টাকাটা পান না। অবসরের কয়েক বছর পর গিয়ে তাদের জমানো টাকা তুলতে হয়। এর ফলে বুড়ো বয়সে তাদের ভোগান্তির সীমা থাকে না।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা পেনশন পান অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে। অবসরের পরপরই আবেদন জমা দিয়ে টাকা তুলতে গেলে বলা হয়, ফান্ডে টাকা নেই। টাকা কবে আসবে আর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা কবে পাবেন, এই ‘আশার চক্করে’ তাদের কাটে মাসের পর মাস। অথচ তাদের টাকা কোথায় আছে, মাসে কত টাকা জমা হয়, ব্যাংক থেকে কত টাকা সুদ পাওয়া যায় তার কোনো হিসাব শিক্ষকরা জানতে পারেন না। কেনই বা তাদের জমানো টাকা অবসরের পর পেতে দেরি হয়, তারও কোনো তথ্য তারা জানেন না।

চাকরি জীবনে শিক্ষক-কর্মচারীরা যে টাকা জমান, অবসরের পর তাদের সেই টাকা ফিরে পেতে এত ভোগান্তি কেন এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের জমানো টাকায় অবসর বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে কর্মরত ২৮ থেকে ৩০ জনের বেতনভাতা দেয়া হয় প্রতি মাসে। সঙ্গে তাদের গাড়ি-বাড়ির পয়সা। অর্থাৎ শিক্ষকদের জমানো টাকায় অবসর বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে কর্মরতদের ঘর-সংসারের খরচ চলে। অন্য খাতে খরচ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষকরা নির্ধারিত সময়ে প্রাপ্য টাকা বুঝে পান না। অথচ তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে নিলে শিক্ষকদের জমানো টাকার এই অপব্যবহার হয় না। একইসঙ্গে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা নতুন অফিস করার জন্য জায়গা খুঁজছে।

একাধিক শিক্ষক বলেছেন, অফিস দুটোর প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে অবসরের যাওয়ার পর শিক্ষক-কর্মচারীরা যাতে ঠিকঠাক সময়ে পেনশনের টাকাটা নির্বিঘ্নে তুলতে পারেন, তার দেখভাল করা। কিন্তু এরা এসব বাদ দিয়ে নতুন পদ সৃষ্টি, ভালো বেতনে চাকরি এবং সুন্দর অফিস স্থাপনের দিকেই জোর দিচ্ছে। আর একারণেই শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের প্রাপ্য ঠিক সময়ে পচ্ছেন না।

এ বিষয়ে কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু  বলেন, অবসর সুবিধা বোর্ড প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে যেভাবে থোক বরাদ্দ পেয়েছে সেভাবে কল্যাণ ট্রাস্ট কোনো বরাদ্দ পায়নি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বছরখানেক আগে থোক বরাদ্দ হিসেবে শুধু ৩৫ কোটি টাকা পেয়েছে। এই টাকায় তো চলে না। এজন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের টাকা থেকেই অফিসের খরচ মেটানো হয়। তবু কাজে গতি আনার জন্য আমরা নতুন পদ সৃষ্টির কথা বলেছি। নতুন পদগুলো অনুমোদন হয়ে গেলে কাজে গতি আসবে। আর এসব সমস্যা রাষ্ট্রকেই মেটাতে হবে বলে জানান এই শিক্ষক নেতা।

জানা গেছে, বর্তমানে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডে যারা কর্মরত তাদের চাকরি এখনো রাজস্ব খাতে স্থানান্তর হয়নি। শিক্ষকদের জমানো টাকা দিয়েই তাদের নিত্যদিনের বাজার সামলাতে হয়। ঠিক এরকম পরিস্থিতিতে আরো লোকবল চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নতুন অর্গানোগ্রাম জমা দিয়েছে কল্যাণ ট্রাস্ট। অবসর সুবিধা বোর্ডও সেই পথে হাঁটছে।

কল্যাণ ট্রাস্টের নতুন অর্গানোগ্রামের যে তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে সেই তালিকায় পরিচালক একজন, উপপরিচালক একজন, সহকারি পরিচালক ৩ জন, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট, ড্রাফ্টম্যান, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, আইন কর্মকর্তা, অডিট কর্মকর্তা, হিসাব রক্ষণ অফিসার, ড্রাইভার ও মালি মিলিয়ে নতুন ৫৮ জনের পদ সৃষ্টির চিঠি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৩ জন। সব মিলিয়ে কল্যান ট্রাস্টে ৭১ জনের পদ সৃষ্টির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এই পদ সৃষ্টি হলে অর্থাৎ রাজস্ব খাতে স্থানান্তর হলে সরকার থেকেই এখানকার কর্মরতরা বেতনভাতা পাবেন। অন্যদিকে অবসর সুবিধা বোর্ডে নতুন ৬৮ জনের পদ সৃষ্টির অনুমতি চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।

কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ড থেকে নতুন যে পদ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে তাতে দেখা গেছে, পরিচালকের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ৪র্থ গ্রেডে। উপপরিচালকদের ৫ম গ্রেডে, সহকারী পরিচালকদের ষষ্ঠ গ্রেডে, হিসাবরক্ষণ অফিসারের নবম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শুধু ১৩ জনের পদের অনুমোদন দিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখন এই ১৩ জনের পদের অনুকূলে টাকা পাওয়া যাবে কিনা তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। যেখানে ১৩ পদেরই চাকরি স্থায়ী বা রাজস্ব খাতে স্থানান্তর হয়নি সেখানে নতুন করে আরো ৫৮টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা হওয়াকে অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না। নতুন এই অর্গানোগ্রাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন এই পদগুলোর বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ মাউশির পরিচালকরা ৪র্থ গ্রেডে, উপপরিচালকরা ৫ম গ্রেডে এবং সহকারী পরিচালকরা ষষ্ঠ গ্রেডে রয়েছেন। কিন্তু মাউশি আর কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডে সমধাপে বেতন নির্ধারণ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

এসব বিষয় নিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখায় একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই কল্যাণ ট্রাস্টের নতুন পদ সৃষ্টির কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ওই বৈঠকে ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা তার অধস্তন কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, কল্যাণ ট্রাস্ট কিংবা অবসর সুবিধা বোর্ডে এত পদ কেন সৃষ্টি করতে হবে? ওই দপ্তর দুটির প্রথম ১৩টি পদই যেখানে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর হয়নি সেখানে নতুন করে আরো ৫৮ জনের পদ সৃষ্টির প্রয়োজন কেন? তারপরও না হয় বোঝা গেল, কাজের প্রয়োজনে লোকের দরকার, কিন্তু তাই বলে এত পদ? শিক্ষকদের জমানো টাকায় এত লোকবল নিয়োগের দরকার কেন- এ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মন্ত্রণালয়ের ওই সভা থেকেই বলা হয়, এত পদের অনুমোদন দিলে বছরে শুধু কল্যাণ ট্রাস্টের বেতনভাতা বাবদই অতিরিক্ত ৫ কোটি টাকা খরচ হবে। এত টাকা কে দেবে? সরকারের রাজস্ব খাত না শিক্ষকদের জমানো টাকা। এছাড়া এখন ১৩ পদকে জনপ্রশাসন সম্মতি দিয়েছে সেটাই ঠিক আছে বলে মনে করেন তিনি। এই ১৩ জনই ঠিকঠাকভাবে কাজ করে তাহলে শিক্ষকদের ভোগান্তি কমবে। পরে ওই সভায় কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডকে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই চিঠিতে বলা হবে, নতুন পদের অনুমোদন হলে ব্যয় কত হবে এবং এর আয় কোথা থেকে আসবে- তার বিস্তারিত তথ্য মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। একইসঙ্গে এত পদের প্রয়োজন কেন সেটিরও ব্যাখা দিতে হবে।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, কেউ একটা কিছু চাইতেই পারে। চাইলেই কি আমরা দিয়ে দেব- পাল্টা প্রশ্ন করে সচিব বলেন, ওরা পদ সৃষ্টির তালিকা দিয়েছে। আমরা যাচাইবাছাই করব। তারপর সিদ্ধান্ত হবে। তবে এও ঠিক, কোনো দপ্তর চালাতে গেলে এবং সেই দপ্তর থেকে সেবা দিতে হলে মিনিমাম যে লোকবলের প্রয়োজন সেই সংখ্যাটাই চূড়ান্ত করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. কামরুল হাসান বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কল্যাণ ট্রাস্টে আগে থেকে কর্মরত ১৩ জনের সম্মতি পাওয়া গেছে। এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি চাইব। এই ১৩ জনের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর হলে বাকি ৫৮ জনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। এর ফলে এখনই ৫৮ পদের অনুমোদন দিচ্ছি না আমরা। বর্তমানে শিক্ষকদের জমানো টাকায়ই সেখানে কর্মরতদের বেতনভাতা হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০২ সালের ডিসেম্বরে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পেনশন সুবিধা দেয়ার জন্য অবসর বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর ২০০৩-০৪ অর্থবছরে অবসর সুবিধা বোর্ডে ৮৯ কোটি, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫০০ কোটি এবং বছরখানেক আগে ৩৫ কোটি টাকা দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই টাকাটা চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে এফডিআর করে রাখা হয়েছে। এই টাকার সুদ বাবদ অবসর সুবিধা বোর্ড বছরে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা পায়। অন্যদিকে অবসর সুবিধা বোর্ডে বছরে বেতনভাতা বাবদ খরচ হয় প্রায় ১ কোটি টাকা। কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষে ব্যাংকে রাখা আছে ৩৫ কোটি টাকা। ট্রাস্টেও কর্মকর্তা, কর্মচারী বেতনভাতাসহ নানা খাতে খরচ হয় প্রায় ১ কোটি টাকা।

অবসর সুবিধা বোর্ড বলছে, তাদের টাকা থেকেই অফিসের বেতনভাতা পরিশোধ করে বাকি টাকা শিক্ষক-কর্মচারীদের পেনশন হিসেবে দেয়া হয়। অন্যদিকে কল্যাণ ট্রাস্টের ফান্ডে টাকা না থাকায় তারা শিক্ষক-কর্মচারীদের তহবিল থেকেই টাকা নেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর সুবিধা দেয়ার জন্য প্রতি বছর খরচ পড়ে ৯৬০ কোটি টাকা। এর মধ্যে চাকরি জীবনে শিক্ষক-কর্মচারীদের ৬ শতাংশ চাঁদা থেকে জমা পড়ে মাসে ৬০ কোটি করে বছরে ৭২০ কোটি টাকা। প্রতি বছর ঘাটতি থাকে ২৪০ কোটি টাকা। এই ঘাটতির কারণেই শিক্ষক-কর্মচারীরা ঠিকঠাক সময়ে অবসরের টাকা পান না। কল্যাণ ট্রাস্টে হিসাবটি আরেকটু কম।

শিক্ষক-কর্মচারীরা যাতে অবসরের টাকা ঠিক সময়ে পেতে পারেন সেজন্য গত ৩ বছরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে অবসর বোর্ডকে ৩ কিস্তিতে ৭৮২ কোটি টাকা। এরপরে সব শিক্ষক-কর্মচারী অবসরের সুবিধা পাননি। গতকাল পর্যন্ত ২৮ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর পেনশনের আবেদন পড়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া টাকা থেকে ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসরে যাওয়ার পরপরই কেন টাকা পান না, ঘাটতি কোথায়- এমন প্রশ্নের জবাবে অবসর সুবিধা বোর্ডের সহকারী প্রোগ্রামার মো. জামাল হোসাইন বলেন, ২০১৫ সালের পর থেকে পেস্কেলের কারণে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা বেড়ে গেছে। এরফলে অবসরের সুবিধাও বেড়েছে। তার মতে, আগে যেখানে একজন শিক্ষক সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পেতেন এখন একজন শিক্ষক সর্বোচ্চ ৩৫ লাখ টাকা পান। এসব বিষয় নিরসনে আরো দুই হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যদি টাকাগুলো পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে সব শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরের টাকা দেয়া সম্ভব হবে।

অন্যদিকে কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু দাবি করে বলেছেন, জাতীয় বাজেটে যদি এই খাত অন্তর্ভুক্ত না করা হয় এবং বছরে ২ থেকে ৩০০ কোটি টাকা এখানে থোক বরাদ্দ না দেয়া হয় তাহলে শিক্ষক-কর্মচারীদের কষ্ট লাঘব হবে না। তিনি বলেন, গত ৩ অর্থ বছরে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কল্যাণ ট্রাস্ট পেয়েছে ৩২৫ কোটি টাকা। এই টাকা শিক্ষকদের দেয়ার পর বহু আবেদন এখনো শেষ হয়নি। সূত্রঃ ভোরের কাগজ 

আগামীনিউজ/এএইচ