ঢাকাঃ প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার পর এবার চলতি বছরের অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষাও বাতিল হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
মহামারি করোনার কারণে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে সরকার। এদিকে এইচএসসি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জানার আগ্রহ থাকলেও সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি মন্ত্রণালয়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন করে আরও একমাসের বেশি ছুটি বৃদ্ধি করায় কমপক্ষে দেড় মাসের মধ্যে আর এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সভায় করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় তাহলে এইচএসসি পরীক্ষা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ওপরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণের জন্য বিকল্প পদ্ধতি কী হতে পারে সে বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করতে ঢাকা বোর্ড, মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, করোনার পরিস্থিতির কারণে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে সরকার।
তবে, বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথোপকথনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লাস শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তায় বাড়িতে বসেই পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার তাগিদ দেন। এসময় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে পরের শ্রেণিতে অটো প্রমোশনের ইঙ্গিতও দেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতদিন পর্যন্ত স্কুল নাই, ক্লাস নাই। পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। আসলে এতে ক্ষতি হলেও তো কিছু করার নাই। কারণ করোনায় সারা দেশ ভুগছে। আমি শিক্ষার্থীদের বলবো, অন্তত বই তো সাথে আছে, একটু পড়াশোনা করুক।
তিনি আরো বলেন, এরপর আমরা দেখি কি করা যায়। কারণ সামনেই তো ফাইনাল পরীক্ষা। পরীক্ষা তো হচ্ছে না, তাই আরো কি করা যেতে পারে বা প্রমোশনটা দিয়ে বরাবরের মতো যেন চলতে থাকে, সেটার চেষ্টাই করছি।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সভায় করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় তাহলে এইচএসসি পরীক্ষা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ওপরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণের জন্য বিকল্প পদ্ধতি কী হতে পারে সে বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করতে ঢাকা বোর্ড, মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগেও করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় সেক্ষেত্রে এইচএসসি পরীক্ষা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কি হতে পারে সে বিষয়ে প্রস্তাবনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল গত এপ্রিলের শুরুতে।
আগামীনিউজ/এএইচ