ঢাকা : আজকের মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্টের (সেকায়েপ) আওতায় নিয়োগ পাওয়া অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা (এসিটি)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে (১২মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ১০তম দিনের মত অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয় ।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. রুহুল আমিন বলেন, আজকের মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো । দীর্ঘ ১০ দিন ধরে সকাল - সন্ধ্যা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছি । কিন্তু সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে এখনো পর্যন্ত কেউ আসেননি । চলমান কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত ৭ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও জানান তিনি ।
অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক ঐক্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মো. মাহিউদ্দিন মাহি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সুপারিশ ও প্রত্যেকবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসের পরও গত ২৬ মাসেও বিনা বেতনে পাঠদান করেও চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি। অভিজ্ঞতা ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বিশেষ অবদান এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে চাকরি স্থায়ীকরণ, বিনাশর্তে দ্রুত এসইডিপি প্রোগ্রামে আমাদের নেয়া হোক। এ বিষয়ে মুজিববর্ষকে সামনে রেখে মহান স্বাধীনতার মাসে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তিনি আরো বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় মানসম্মত শিক্ষার অনুপস্থিতির কারণে সরকার ২০১৫ সাল হতে তিন বছর মেয়াদে আকর্ষণীয় বেতনে নিজ জেলার সর্বোচ্চ মেধাবীদের সেকায়েপ প্রকল্পের অধীনে সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫ হাজার ২০০ জন অতিরিক্ত বিষয় ভিত্তিক অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মডেল শিক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার পাশাপাশি প্রকল্প শেষে চাকরির স্থায়ীকরনের কথা উল্লেখ করা হয়। একইভাবে এসিটি ম্যানুয়েল ৩৬ ধারায় ও এসিটি সফল কম্পনেন্ট হিসেবে বিনাশর্তে পরবর্তী প্রোগ্রামে স্থানান্তরের কথাও বলা হয়। কিন্তু পরে তার কোনোটাই রক্ষা করা হয়নি।
আগামীনিউজ/সুশান্ত/হাসি