ঢাকা: দেশের তরুণ কর্মদক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে বিশ্বের প্রতিটি দেশেই কারিগরি শিক্ষার ওপরে যথেষ্ঠ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কেবল চাকরি ক্ষেত্রেই নয়, নিজেই নিজের কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে চাইলে হাতে কলমের শিক্ষা সবচেয়ে বেশি সহায়তা করতে পারে।
উন্নতবিশ্বের ন্যায় কারিগরি এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার জোয়ার এখন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায়। ২০১১ সাল থেকে দেশের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর প্রশিক্ষণার্থীদের বৃত্তি দিয়ে আসছে সরকার। এবার সকাল-বিকাল উভয় শিফটের প্রশিক্ষণার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের যে কোনো কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৩৬০ ঘণ্টার কোর্সে প্রশিক্ষণ নিলেই মিলবে এই বৃত্তি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের প্রশিক্ষণার্থীদের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম প্রকল্পের ৭ম পর্যায় চলছে। এই প্রকল্পের অষ্টম পর্যায়ে এর আওতা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে সংস্থাটি তৈরি করছে প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি)।
ডিপিপিতে যে বিষয়গুলো অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে সে বিষয়ে সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, প্রকল্পটির নতুন পর্যায়ে সকাল ও বিকাল উভয় শিফটের সকল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৩৬০ ঘণ্টার কোর্সের সকল শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পাবে। এই বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠানো হবে। প্রকল্পের অষ্টম পর্যায়ের ডিপিপি বিএমইটি দ্রুত প্রণয়ন করবে।
যারা এ প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ নেবে, তাদের মধ্য থেকে কারা বিদেশ যাচ্ছেন, কারা দেশে কর্মসংস্থান করছেন- সব একটি ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হবে। বিদেশ যেতে আগ্রহী কর্মীদের তথ্য রেজিস্টার করতে হবে ব্যাংকে।
আগামীনিউজ/এমআর