ডিমের দাম কমলেও ঊর্ধ্বগতি নিত্যপণ্যে

আগামী নিউজ ডেস্ক আগস্ট ১৮, ২০২৩, ০১:২০ পিএম

ঢাকাঃ চলতি সপ্তাহে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে ডিমের বাজারে। তবে অস্বস্তি বিরাজ করছে মাছ ও সবজির বাজারে। গত সপ্তাহেও গ্রীষ্মের পটল ও ঢ্যাঁড়শের মতো সবজিগুলো কেজিপ্রতি ৫০ টাকার নিচেও বিক্রি হয়েছে। এ সপ্তাহে ৬০ টাকার কমে বাজারে কোনো সবজি মিলছে না। অন্যদিকে মাছের বাজারে কম দামি হিসেবে পরিচিত পাঙাশের কেজি এখন ২৫০ টাকা। ৩৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো মাছ।

বিক্রেতারা বলছেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাজারগুলোতে পণ্য সরবরাহ কম। তাতে সবজি ও মাছের দাম বেশ বেড়ে গেছে।

এদিকে কাঁচা মরিচ ও টমেটোর বাজারের অস্থিরতা এখনো কাটেনি। অন্যান্য সবজির মতো নতুন করে আবারও আলুর দাম বাড়ছে। যদিও ফার্মে মুরগির ডিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। তবে চিনির সংকট দিন দিন আরও গভীর হচ্ছে। অর্থাৎ মোটাদাগে বাজারে ক্রেতাদের জন্য সুখবর নেই।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, মগবাজার ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সবজির বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এ আলুর দাম ছিল ৪০ টাকা। বেগুনের দামও বেড়েছে। বড় আকারের কালো বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। করলার দাম ছুঁয়েছে ১০০ টাকা কেজি। দরদাম করে নিলেও ৯০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। আর এ গ্রীষ্মের সবজি ঢ্যাঁড়শ ও পটলের কেজি ৬০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, বাজারে কাঁচা মরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং টমেটো ২৮০ থেকে ৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সস্তার সবজি হিসেবে পরিচিত পেঁপের কেজিও ৪০ থেকে ৬০ টাকা।

এদিকে, ভারত থেকে আমদানি সত্ত্বেও দুই সপ্তাহ আগে বাজারে পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। আমদানি করা পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

তবে গত সপ্তাহের সবচেয়ে আলোচিত পণ্য ডিমের দাম তিনদিনের ব্যবধানে হালিতে ৫ টাকা কমেছে। প্রতি ডজনে কমেছে ২০ টাকা পর্যন্ত। এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, যা ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। সোনালি মুরগির কেজি ৩৪০ টাকা। তবে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে মাছের দাম। ক্রেতারা মাছ কিনতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। নদী ও হাওরের মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই। চাষের মাছও এখন বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে এক কেজি ছোট ও মাঝারি আকারের পাঙাশের দাম ছিল ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, সেই পাঙাশ এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। দাম বেড়ে তেলাপিয়া মাছের কেজি ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। মাঝারি ও বড় মানের তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়।

অন্যদিকে, এক কেজি ওজনের চাষের রুই-কাতলা মাছের দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি।

ওই বাজারে প্রতি ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি এবং এক কেজি সাইজের ইলিশ ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, মুদিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে কাটছে না চিনির সংকট। বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। দোকানিরা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন চিনি। এখনো প্যাকেট চিনি পাওয়া যাচ্ছে না অধিকাংশ দোকানে।

বুইউ