ঢাকাঃ দেশের ইতিহাসে সব থেকে বড় অঙ্কের বাজেট ঘোষণার দিনে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমানো হয়েছে। এতে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৫৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। যা এতদিন ১ হাজার ২৩৫ টাকা ছিল।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে বিইআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাম ঘোষণা করা হয়।
বিইআরসির ঘোষণায় বলা হয়েছে, সৌদি আরবের আরামকো কর্তৃক প্রোপেন এবং বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি যথাক্রমে প্রতি মেট্রিক টন ৪৫০.০০ এবং ৪৪০.০০ মার্কিন ডলার অনুযায়ী গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৪৪৩.৫০ মার্কিন ডলার বিবেচনায় জুনের জন্য বেসরকারি এলপিজি ও অটোগ্যাসের ভোক্তাপর্যায়ের মূল্য সমন্বয় করা হলো। বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে মূসক ব্যতীত মূল্য প্রতি কেজি ৮৩ দশমিক ৯২ টাকায় এবং মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ৮৯ দশমিক ৪৮ টাকায় সমন্বয় করা হয়েছে। সে অনুযায়ী রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজি বোতলজাতকৃত এলপিজির মূসকসহ মূল্য ১ হাজার ৭৪ টাকায় সমন্বয় করা হয়েছে।
সমন্বয়কৃত মূল্য ১ জুন সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রযোজ্য ও কার্যকর হবে এবং পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। এছাড়াও সরকারি এলপিজির ইআরএল/আরপিজিসিএল পর্যায়ের মূল্য অপরিবর্তিত থাকায় এবং সরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয়ের সাথে সৌদি সিপির সংশ্লিষ্টতা না থাকায় সরকারি এলপিজির মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।
এর আগে মে মাসে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৫৭ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ২৩৫ টাকা নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এপ্রিলে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৪৪ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। যা তারও আগে মার্চ মাসে ৭৬ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
তারও আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৬৬ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। জানুয়ারিতে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৫ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২৩২ টাকা নির্ধারণ করে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। তবে ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দর ঘোষণা করে বিইআরসি। তখন বলা হয়, আমদানিনির্ভর এই জ্বালানির দাম নির্ধারণে সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হবে। ফলে সৌদির দর ওঠানামা করলে ভিত্তিমূল্যও ওঠানামা করবে। তবে এ ক্ষেত্রে অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। সেই ঘোষণার পর থেকে প্রতি মাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।
বুইউ