ঢাকাঃ ডলার সংকটের মধ্যেই কমেছে অর্থনীতির অন্যতম সূচক রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্সের গতিপ্রবাহ ভালো অবস্থায় না ফেরায় চলতি মাস নভেম্বরেও দুই বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা নেই।
তথ্য বলছে, চলতি মাসে প্রতিদিন গড়ে ৫ দশমিক ৮ কোটি ডলার করে রেমিট্যান্স আসছে। অন্যদিকে বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার। যা নিয়ে খুব একটা সাড়া পড়ছে না।
রেমিট্যান্সের খরা এবং চলমান ডলার সংকট নিরসনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি নভেম্বর মাসের শুরুতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (ডলার) ছিল ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন। সবশেষ বুধবার (২৩ নভেম্বর) রিজার্ভ থেকে ১১৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলারে। এ রিজার্ভ দিয়ে ৪ মাসের (প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন হিসাবে) আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব করলে দেশের এ রিজার্ভ থেকে আরও ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হবে ২৫ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে রেমিট্যান্স আসার গতিও স্লোথ হয়েছে। চলতি মাস নভেম্বরের প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স আসছে ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, চলতি মাস নভেম্বরের এক তারিখে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মজুদ ছিল ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ নভেম্বর আরও কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে। এরপর নভেম্বরের ৭ তারিখে রিজার্ভ থেকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৩৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। পাশাপাশি আমদানি দায় মেটাতে ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয় রিজার্ভ থেকে। এর ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে হয় প্রায় ৩৪ দশমিক ২৮ বিলিয়নের নেমে আসে।
বুইউ