ঢাকাঃ ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়ানো হয়েছে। ১২ কেজির প্রতিটি সিলিন্ডারের দাম ১৬ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির প্রতিটি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৩৫ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার ২১৯ টাকা।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এলপিজির নতুন এ দাম ঘোষণা করে বিইআরসি। চলতি মাসের জন্য এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বুধবার দুপুর ২টা থেকে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে প্রতি মাসে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
এর আগে ২ আগস্ট ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ২৫৪ টাকা থেকে ৩৫ টাকা কমিয়ে এক হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি। আজ ফের ১৬ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ২৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে আগস্টে কমলেও জুলাই মাসে এলপিজির দাম বেড়েছিল কেজিতে ১ টাকা। আরও আগে গত ৫ মে এলপিজির দাম কমিয়েছিল বিইআরসি। সেই সময় ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ছিল এক হাজার ৩৩৫ টাকা।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলপিজি দাম সমন্বয় করা হলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানে না ব্যবসায়ীরা। খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দেড়শ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয় প্রতিটি এলপিজি সিলিন্ডার। ফলে এলপিজি ব্যবহারে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাকে আর মুনাফা লুটছে কোম্পানি, ডিলার আর খুচরা ব্যবসায়ীরা।
এমবুইউ