ঢাকাঃ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে দাঁড়ালো ১৯২ টাকা।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) মেঘনা গ্রুপের সিনিয়র এজিএম তসলিম শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সরকারের অনুমোদনক্রমেই লিটারে ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা বিক্রি হবে। বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯২ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া পাঁচ লিটারের এক বোতল তেল বিক্রি হবে ৯৪৫ টাকায় এবং পাম সুপার তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৫ টাকা।
আজ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে মিলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ২০ টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব করে মিল মালিকদের সংগঠনটি। সেই প্রস্তাবে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ টাকা, এক লিটারের বোতল ২০৫ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৯৬০ টাকা করার কথা বলা হয়েছিল। এর মধ্যে আজ তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা করে বাড়ানোর কথা জানায় ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এর আগে গত ১৭ জুলাই দেশে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম কমানো হয়। তখন খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৫ টাকা এবং পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পাম তেলের দামও ছয় টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে পাম তেলের নির্ধারিত দাম ১৪৮ টাকা।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো ট্যারিফ কমিশনকে প্রস্তাব দেয়। এরপর কমিশন তা পর্যালোচনা করে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত হয় তেলের মূল্য।
মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, টি কে গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডসহ দেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানির পর পরিশোধন করে বাজারে ছাড়ে। কেউ কেউ সয়াবিন বীজ আমদানি করে তেল উৎপাদন করে।
এমবুইউ