দাম কমবে যেসব পণ্যের

আগামী নিউজ ডেস্ক জুন ৯, ২০২২, ০৪:১৬ পিএম

ঢাকাঃ আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর আরোপের পাশাপাশি জনস্বার্থে কিংবা দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় শুল্ক ও ভ্যাট ছাড়ের প্রস্তাবনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের যে বাজেট পেশ করেন, তাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে বিভিন্ন সুবিধার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা সুরক্ষায় বিলাসবহুল পণ্যে আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্যাট ও কর অব্যাহতি প্রস্তাবে দাম কমতে পারে কিছু পণ্যের। বর্তমানে কম্পিউটার সামগ্রীর মধ্যে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার ও অন্যান্য কম্পিউটার ও আইসিটি পণ্যে ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় শিল্পের বিকাশে ওই শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

অন্যদিকে, আমদানিকারকদের ওই সব পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। ফলে স্থানীয় শিল্পে উৎপাদিত কম্পিউটার ও আইসিটি পণ্যের দাম কমতে পারে।

একই কারণে কমতে পারে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতির সরঞ্জামের দাম। এছাড়া কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ কর সুবিধার প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে। ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা পাচ্ছে দেশীয় গাড়ি তৈরির শিল্প। ফলে মোটরগাড়ি তৈরিতে যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের পাশাপাশি ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে। ফলে দেশে তৈরি গাড়ি তুলনামূলক কম দামে মিলবে।

এছাড়া স্থানীয় উৎপাদিত মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের শুল্ক ও ভ্যাট সুবিধা ভোগ করে আসছে। যেখানে আমদানি করা হ্যান্ডসেটের ওপর ৫৮ শতাংশ শুল্ক-কর প্রযোজ্য। সেখানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও অ্যাসেম্বলড হ্যান্ডসেটের জন্য কর দিতে হয় যথাক্রমে ১৩ ও ১৮ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে এই সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত থাকছে। সে হিসাবে আমদানি কর মোবাইলের তুলনায় আগামী অর্থবছরের তুলনামূলক কম দামে ফিচার ফোন (বাটন ফোন) মিলতে পারে।

‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে এবারের বাজেটটি প্রস্তুত হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।

এমবুইউ