শবে বরাত: গরুর মাংস ও মুরগির দাম চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৮, ২০২২, ০৩:৪৪ পিএম

ঢাকাঃ হঠাৎ করেই বাজারে বেড়েছে গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগির দাম। শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বেড়ে হয়েছে ১৮০ টাকা।

শবে বরাতের রাতে বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে ভালো খাবার আয়োজনের রীতি রয়েছে। এদিন অনেকে হালুয়া রুটি, গরুর মাংসসহ সাধ্য অনুযায়ী ভালো ভালো রান্না করে থাকেন। সেসব খাবার গরিবদের দেওয়া ছাড়াও পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যে দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। এ জন্য এ রাত উপলক্ষে অনেকেই ভালো কিছু রান্না করেন। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

ক্রেতারা বলছেন, আজ পবিত্র শবে বরাত। এদিন মানুষ একটু ভালো খাওয়া-দাওয়া করতে চায়, সবাই কেনাকাটা করে। এজন্য ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। দুই দিন আগেও গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজিতে এবং ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছিল। এখন হঠাৎ দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।

কেন দাম বাড়লো তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি ব্যবসায়ীরাও। মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের মাংস ব্যবসায়ী হামিদুর বলেন, 'মাঝে মাঝে দাম বাড়ে আরকি।' এসময় পাশ থেকে এক ক্রেতা প্রতিবেদকের উদ্দেশে ফোড়ন কাটলেন, 'এইটা শবে বরাত স্পেশাল বোধহয়।'

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের দাম বেশ সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। আমদানি করা বড় আকৃতির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহেই এর দাম ছিল ৫০ টাকার ওপরে। বড় রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে, ছোট রসুন ৫০ টাকায়।

মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট, টাউন হল মার্কেট ও সাদেক খান বাজারে সয়াবিন তেলের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এসব জায়গায় প্রতিকেজি বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা লিটারে। তবে খোলা সয়াবিনের দাম এখনো সামান্য বেশি।

বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়। লাল ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায়। মাঝারি দানার ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজিতে, ছোলা ৭৮ টাকা কেজিতে। প্যাকেটজাত আটা ও ময়দার দামও স্থিতিশীল আছে। এগুলো যথাক্রমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো বিশেষ দিন এলেই কিছু না কিছুর দাম বাড়ে। আজকে শবে বরাত, ভাবলাম মাংস কিনি। এসে দেখি কেজিতে ১০০ টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।’

এমনই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন আরও কয়েকজন ক্রেতা। তাদের একজন বলেন, ‘পেঁয়াজ-সয়াবিনের দাম আস্তে আস্তে কমলো। এখন দেখি মুরগির দাম বেড়ে গেছে। মানে আমাদের কপালে শান্তি নাই।’

এমএম