ঢাকাঃ গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া অগ্রিম ও মার্চেন্টের পাওনা প্রায় ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা `আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে' ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রাথমিক পর্যায়ের অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন আর্থিক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ জুলাই থেকে ছায়া অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তবে আনুষ্ঠানিক কোনো অনুসন্ধান শুরু করেনি বলে নিশ্চিত করেন দুদক সচিব।
বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় ইভ্যালির বিষয়ে এখনো কমিশনের ব্যবস্থা নেয়ার মতো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া অন্য যে সংস্থাগুলো অনুসন্ধানের কাজ করছে তাদের প্রাপ্ত তথ্যের জন্যও অপেক্ষা করছে দুদক, জানান প্রতিষ্ঠানটির সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
উল্লেখ্য, ইভ্যালির বিরুদ্ধে ক্রেতার কাছ থেকে আগাম টাকা নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করা এবং মার্চেন্টদের পাওনা পরিশোধ না করার অভিযোগ ওঠে। এ কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভ্যালিতে তদন্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদন্ত করে গত ১৬ জুন প্রতিবেদন জমা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তে দেখা গেছে, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত ক্রেতাদের থেকে ২১৪ কোটি এবং মার্চেন্টদের কাছে ১৯০ কোটি টাকা দায় রয়েছে। ওই সময়ে ইভ্যালির কাছে সম্পদ ছিল প্রায় ৯২ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৬৫ কোটি টাকা চলতি মূলধন।
ক্রেতা ও মার্চেন্টদের বিপুল পরিমাণ টাকা তাহলে কোথায় গেল এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক পরিস্থিতির এ চিত্র উঠে আসার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ক্রেতা ও মার্চেন্টদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে ইভ্যালির কাছে গ্রাহকের বকেয়া পাওনার তথ্য এবং ভবিষ্যতে কীভাবে এসব দেনা পরিশোধ করা হবে তার পরিকল্পনা জানতে চায়।
একইসাথে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সুরক্ষা এবং ডিজিটাল কমার্স খাতের নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধের লক্ষ্য ইভ্যালির বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।