ভারতের সঙ্গে

সীমান্ত বন্ধে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে

মনির হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি মে ২২, ২০২১, ০৭:০২ পিএম
ফাইল ফটো

যশোরঃ ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির কারণে দেশটির সঙ্গে স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও আট দিন বাড়ানো হয়েছে।

আগামী ৩১ মে পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের ২৪ পরগনা জেলায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকার ১৫ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ১৫ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। এতে নানান প্রতিবন্ধকতায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

লকডাউন বাড়ানোর কারণে সীমান্ত বন্ধে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল বন্ধ থাকলেও বাণিজ্যের স্বার্থে বেনাপোল পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি চালু থাকবে। তবে আগের তুলনায় আমদানি-রফতানির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এর ফলে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে মারাত্মক বিরুপ প্রভাব পড়ছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু করোনার কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বন্ধ হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানান প্রতিবন্ধকতায় বাণিজ্য কমে আসছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন সাড়ে ৪শ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি এবং ১৫০ ট্রাক পণ্য ভারতে রফতানি হতো। বর্তমানে বাণিজ্যের পরিমাণ কমেছে।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কার্তিক চন্দ্র বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় ১৫ দিনের লকডাউন চলছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ট্রেন-বাস, অফিস বন্ধ রয়েছে। ফলে পণ্য সরবরাহ কমায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বিঘ্ন হচ্ছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ভারতের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং দেশে চলমান লকডাউনের মধ্যে সরকারের নির্দেশনায় বন্দরে আমদানি-রফতানি সচল রয়েছে। তবে পরিমাণের দিক দিয়ে বাণিজ্য কমেছে।