আলুর বাজারে আগুন

ডেস্ক রিপোর্ট অক্টোবর ২৭, ২০২০, ০৬:৪৬ পিএম
ছবি সংগৃহীত

ঢাকাঃ ব্যবসায়ীদের চাপে খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে ৩৫টাকা পুননির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারের বেঁধে দেয়া দাম মানছে না কেউ। দাম নিয়ে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের দুষছেন। এদিকে দাম না কমায় ক্ষুদ্ধ সাধারণ ক্রেতারা।

আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪৫ থেকে ৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। দাম বেশি রাখায় ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ বলছেন, সরকার আলুর দাম নির্ধারণ দিয়েই চুপ রয়েছে। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা দাম বেশি নিচ্ছে।

জনাব আলী নামের আরেক ক্রেতা বলেন, সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিলেও ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। দেশটাকে তারা মগের মুল্লুক বানিয়ে ফেলেছে। যাচ্ছে তাই দাম রাখছে।

শহিদুল ইসলাম নামের এক আলু বিক্রেতা পাইকারদের দোষারোপ করে বলেন, আমরা কী করতে পারি? আমরা বেশি দামে ক্রয় করি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। কম দামে কিনতে পারলে বেশি দামে বিক্রি করব কেন? আপনারা পারলে পাইকারদের কাছে যান।

আরেক দোকানি রুবেল আহমেদ বলেন, আমাদের কেনা বেশি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। এরপরও আমাদের ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া যাতায়াত খরচ আছে। সব মিলিয়ে আমাদের একটু লাভ থাকা প্রয়োজন।

যাত্রাবাড়ী পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ীর পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোল্ডস্টেরেজ মালিকরা আলুর দাম কম না রাখলে, আমরা কিভাবে কম দামে বিক্রি করব? কোল্ডষ্টোরেজ গুলো আলুর দাম তাদের কাছ থেকে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা দরে রাখছেন বলে তারা জানান।

তারা অভিযোগ করে বলেন, কোল্ডস্টোরেজ গুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা দরকার। তারা (কোল্ডস্টোরেজ) সিন্ডিকেট করে বাজারে আলু কম সরবরাহ করছে।

পাইকারি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, আলুর দাম কমাতে হলে, আগে মেইন জায়গায় অভিযান চালাতে হবে। তাহলে আলুর দাম কমবে। তাছাড়া আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে কী হবে? আমা‌দের বেশি দামে কিনতে হয় বলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

আরেক ব্যবসায়ী আব্দুল হাই বলেন, পাইকারি বাজারের পাশাপাশি কোল্ডস্টোরেজ গুলোতেও অভিযান চালানোর উচিত। তাহলে আলুর দাম কমবে।

খুচরা ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু সেই আলু এখনও আমাদের কাছে আসেনি। পেঁয়াজের দাম যখন বেড়েছিল, তখনও আমাদের মত ছোট ব্যবসায়ীদেরকে দোষারোপ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের করার কিছুই নেই। আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

সাধারণ ক্রেতা আব্দুল ম‌জিদ ব‌লেন, সব‌জির বাজা‌রে যাওয়াই যায় না। আলুর বাজার তো আরও গরম। মানুষ কী কিন‌বে? অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

আগামীনিউজ/জেহিন