ঢাকাঃ ভোজ্য তেলের দাম প্রতি লিটার ২ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশের তেল ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠক করে এ ঘোষণা দেন তেল ব্যবসায়ীরা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ভোজ্য তেল সয়াবিন ৯২ থেকে ২ টাকা কমিয়ে ৯০ টাকা, পামওয়েল ৮২ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ৮০ টাকা করেছে তেল ব্যবসায়ীরা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকশী বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেশের তেল ব্যবসায়ীদের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে ভোজ্য তেলের দাম (সয়াবিন ও পাম অয়েল) লিটারে ২ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা তেলের দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি)। পণ্য বিপণন আদেশ ২০১১ অনুসারে ব্যবসায়ীরা প্রস্তাব দিলে ওই প্রস্তাব নিয়ে পর্যালোচনা সভা হয় এবং বাড়ানোর কোনো কারণ খুঁজে না পাওয়ায় ব্যবসায়ীদের পাঠানো দাম অনুমোদন হয়নি।
সভায় বলা হয়, এ মুহূর্তে বিশ্ববাজারে কিছুটা দাম বাড়লেও দেশের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো চলতে পারবে। এ ছাড়া করোনা মহামারির সময়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবং লাভের কিছু অংশ ছাড় দিয়ে মূল্য আগের জায়গায় রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিটিটিসি কার্যালয়ে গত সোমবার এ পর্যালোচনাসভা হয়।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত এক মাসে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। বুধবার (২১ অক্টোবর) প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৪ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও তা ছিল ৮২ থেকে ৯৩ টাকা। আর এক মাস আগে ছিল ৮২ থেকে ৮৭ টাকা লিটার।
দেশের বাজারে এক মাস আগেও পাম অয়েল ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা লিটার। বর্তমানে তা ৮৮ থেকে ৯০ টাকা। এক মাসের মধ্যে দুই দফায় লিটারে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। প্রতি লিটার তীর ব্র্যান্ডের তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। আর রূপচাঁদা পাঁচ লিটারে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৩০ টাকা। দেশে ১২টি প্রতিষ্ঠান ভোজ্য তেল সরবরাহ করে। দেশে মজুদ এবং সরবরাহ পরিস্থিতিও ভালো।
আগামীনিউজ/জেহিন