সেতু নির্মাণে প্রশিক্ষণ-সেমিনার খরচ পৌনে ১১ কোটি টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট অক্টোবর ১, ২০২০, ০৫:৪২ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের অধীনে সারাদেশে ১৩৩ সেতু নির্মাণ করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।  প্রকল্পের মোট ব‌্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। এজন‌্য প্রশিক্ষণ ও সেমিনার খরচ ধরা হয়েছে পৌনে ১১ কোটি টাকা। তবে, কোনো সমীক্ষা ছাড়াই প্রকল্প হাতে নেওয়ায় বিপুল পরিমাণে অর্থের অপচয় হতে পারে—এমন আশঙ্কায় যাচাই-বাছাই করার জন‌্য ‘প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি’ (পিইসি)-কে নির্দেশ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। 

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ৪১ জেলার ৮৩ উপজেলায় ২৭টি ১০০ মিটারের বেশি ১০৬ এবং ১০০ মিটারের কম দৈর্ঘ্যের সেতু তৈরি করা হবে। সেতুগুলোর মোট দৈর্ঘ্য ২৩ হাজার ১৮০ মিটার। এই প্রকল্পের আওতায় ৪ হাজার ৪৩০ মিটার নদীশাসন কাজ করা হবে।  অধিগ্রহণ করা হবে ৬২ হাজার ৪০০ মিটার সংযোগ সড়ক ও ১১৬ হেক্টর জমি। প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের শেষের দিকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। 

এলজিইডি’র পাঠানো প্রস্তাবের কার্যপত্রে দেখা গেছে, প্রকল্পে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বাবদ ৫ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। আর ২ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ বাবদ। এর বাইরে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে সেমিনার ও কনফারেন্সের জন‌্য।  প্রকল্পের আওতায় ৪টি জিপ গাড়ি, ৪৪টি পিক আপ, ৯০টি মোটরসাইকেল কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর বাইরে প্রকল্পের  পরামর্শক খাতে ১৫৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে।  

উল্লিখিত হিসাবের বাইরে এলজিইডির পক্ষ থেকে দেড় কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে অফিস ভাড়া বাবদ। এছাড়া, ভ্রমণ ব্যয় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ও জ্বালানি বাবদ ৬ কোটি চাওয়া হয়েছে। মনোহরি পণ্য বাবদ ৭৫ লাখ, চলচ্চিত্র নির্মাণ বাবদ ৬ কোটি, সম্মানী ভাতা দেড় কোটি, মুদ্রণ ও বাঁধায় বাবদ ২৫ লাখ, পরিবেশ ও ছাড়পত্র ফি বাবদ ১ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের প্রস্তাব পর্যালোচনা শেষে পরিকল্পনা কমিশন বলছে, জেলা-উপজেলায় সরকারি যানবাহনের হিসাব জানা প্রয়োজন। এসব ব‌্যয়কে অযৌক্তিক ব‌্যয় বলে প্রতীয়মান হয়েছে কমিশনের কাছে। এই কারণে এসব খাতে ব্যয় কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্র জানায়। 

জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান প্রশান্ত কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘কৃষি ও অকৃষি পরিবহণ ও ব্যবস্থার উন্নয়ন। স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি কর্মসংস্থানসহ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে।  প্রকল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে সামনে পিইসি সভা হবে।  ওই সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ এজন্য নতুন আঙ্গিকে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। 

আগামীনিউজ/এএইচ