রিজার্ভের অর্থে হাত না দেয়ার পরামর্শ

অর্থনৈতিক ডেস্ক আগস্ট ২৭, ২০২০, ১২:০১ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ রিজার্ভের অর্থে এখনই হাত দেয়া ঠিক হবে না বলে মনে করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জরুরি আমদানি বিল মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরো বেশি হওয়ার দরকার। তবে, বিশেষ বিবেচনায় উন্নয়ন প্রকল্পে নয় বরং কর্মসংস্থান বাড়াবে এমন প্রকল্পের জন্য তহবিল গঠন করা যেতে পারে রিজার্ভের অর্থে।

করোনা মহামারির মধ্যেও ইতিবাচক হারে বাড়ছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। আর সে কারণেই আলোচনা উঠেছে রিজার্ভ থেকে সরকার উন্নয়ন কাজে ব্যয় করতে পারে কিনা? এ প্রশ্নে রিজার্ভে হাত না দেয়ার পরামর্শ সাবেক দুই গভর্নরের।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'বাংলাদেশের রিজার্ভ এমন কোনো বেশি হয়ে যায়নি যে এখনই তা খরচ করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিন্তু নিরাপদ লগ্নি করে বেশ ভালো বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে।' রিজার্ভ যত বাড়বে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে ভাবমূর্তি তত উজ্জ্বল হবে বলেও জানান ফরাস উদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক আরেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'আপদকালীন সময়ের জন্যই রিজার্ভ রাখা উচিত।' তাই রিজার্ভ মজুদ রাখার পরামর্শ সাবেক এ গভর্নরের।

তাদের মতে, রিজার্ভের অর্থ জনগণের আমানত। এ অর্থ থেকে সরাসরি সরকার বা কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ দেয়া উচিত হবে না। তবে, কর্মসংস্থানমুখী প্রকল্পে বিশেষ তহবিল গঠন করা যেতে পারে।

ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'যদি জনগণের পক্ষে সরকার মনে করে কোনো কাজের জন্য আমাদের অর্থ দরকার দরকার তাহলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ধার করতে পারে।'

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'সরাসরি সরকারি কোনো প্রকল্পে জন্য ধার করা সমীচিন না। কারণ ধার করলে হঠাৎ করে তারল্য সংকটে পড়লে তখন জরুরি আমদানি বিল কিভাবে পরিশোধ করা হবে।'

তারা বলছেন, সরকারের উচিত রিজার্ভে না তাকিয়ে পাইপলাইনে থাকা বিদেশি ঋণ যথাযথভাবে উন্নয়ন প্রকল্পে কাজে লাগানো।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, রিজার্ভের অর্থ খরচ করার চেয়ে বিদেশি ঋণের টাকা যথাযথভাবে খরচ করাকেই অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।

সেই সঙ্গে শিল্পায়নে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিবেশ সৃষ্টিরও তাগিদ দিলেন সাবেক গভর্নররা।

আগামীনিউজ/এএইচ