ঢাকা: টানা ঊর্ধ্বমুখীতার পর মূল্য সংশোধন করা হয়েছে পুঁজিবাজারে। সংশোধনের পর বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং সব সূচক কমছে। তবে সূচক ও লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ শেয়ারের দাম কমলেও বেড়েছে আর্থিক ও শেয়ার লেনদেন।
আজ সোমবার (১৭ আগস্ট) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এটি আগের তিন বছরের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ আর্থিক লেনদেন। এর আগে ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে ১ হাজার ৫০৮ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। ওইদিনের পর সেমাবার ডিএসইতে একদিনে সর্বোচ্চ লেনদেন।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারে টানা উত্থান কিংবা পতন কোনটাই স্বাভাবিক বিষয় না। তবে দীর্ঘদিন পুঁজিবাজার নিম্নমুখী থাকার পর গত দুই সপ্তাহ ধরে বাজার ছিল বেশ ঊর্ধ্বমুখী। এই সময়ে লেনদেন গড় লেনদেনও হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। তবে সবশেষ দুই সপ্তাহ পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে তাদের লভ্যাংশ তুলে নিয়েছেন। আর এই কারণে বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় সোমবার দিনশেষে সূচকের পতন দিয়ে শেষ হয়েছে লেনদেন। বাজার এই অবস্থাকে স্বাভাবিক হিসাবেই দেখছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
এদিকে সোমবার ডিএসইতে ৩৫৬টি প্রতিষ্ঠানের ৫৪ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার ৭৯৬টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৮টির, কমেছে ২২৮টির এবং ১০টি শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৭৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৮৫ পয়েন্টে নেমে আসে। ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৬১৮ পয়েন্টে নেমে আসে।
অন্যদিকে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৯০টি প্রতিষ্ঠানের ২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪১৮টি শেয়ার ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের শেষার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ১৭৪টির এবং ২০টি শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত থাকে। সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৫৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৬৭২ পয়েন্টে উন্নীত হয়। দিনশেষে সিএসইতে ১১ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
আগামীনিউজ/এএইচ