ঢাকা : বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন বন্ধ ঘোষিত সব পাটকল পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি), যৌথ উদ্যোগ, জিটুজি বা লিজ মডেলে পরিচালনার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুনরায় চালু করতে চায় সরকার। এজন্য আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত আগ্রহী উদ্যোক্তা বা বিনিয়োগকারীরা মিলগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করতে পারবেন। এ সময় তারা মিলের যন্ত্রপাতি, স্থাপনাসহ অন্যান্য সম্পত্তি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন।
সরকারি মালিকানাধীন পাটকলগুলো পুনরায় চালু করাসহ অন্যান্য সম্পত্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গঠিত নীতি-নির্ধারণী কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার (১২ আগস্ট) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সভাপতিত্বে নীতিনির্ধারণী কমিটির ২য় সভা গত ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগ্রহী উদ্যোক্তা/বিনিয়োগকারীরা মিলগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করতে প্রয়োজনে বিজেএমসি চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব কাজী কামরুল করিমের (০১৭৭৯-৪৮৫১৫১) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধানসহ পাটখাতে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ভ ঘোষণা ছাড়াই গত ১ জুলাই বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি পাটকল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, বহুমুখী পাটপণ্যের বর্তমান বাজার ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে পাটপণ্যের উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও পুনর্বিন্যাস করে বিজেএমসির বন্ধ ঘোষিত মিলগুলো জরুরি ভিত্তিতে পুনরায় চালু করতে কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে অবসায়নের পরে দেশের পাটকলগুলো তথা মিলগুলোকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি), যৌথ উদ্যোগ, জিটুজি বা লিজ মডেলে পরিচালনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একই সঙ্গে মিলগুলোকে উপযুক্ত ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন ও চালু এবং বিজেএমসির জনবল কাঠামো পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে যৌক্তিকীকরণের বিষয়ে সুপারিশ দিতে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের ২টি কমিটি ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।
আগামীনিউজ/এমজামান