ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ১৬ হাজার কোটি টাকা

নিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০, ০৭:৪৪ পিএম

ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে বিশেষ ফান্ড গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের পর বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও গত সপ্তাহজুড়ে সূচক পতনেই শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। আর এই অব্যাহত পতনের কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে (২৩-২৮ ফেব্রুয়ারি) বাজার মূলধন কমেছে ১৬ হাজার কোটি টাকা।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৯৮৩ কোটি ১৮ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৫৯ হাজার ২৬২ কোটি ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধান ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ১৬ হাজার ২৭৯ কোটি ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকা বা ৪.৫৩ শতাংশ।

এদিকে ব্যাংকের সার্কুলার জারি ও এডিবির ঋণের দেড় হাজার কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের খবরে এর আগের সপ্তাহ ইতিবাচক হলেও গত সপ্তাহজুড়ে সূচকের পতন অব্যাহত ছিল। যা বিনিয়োগকারীদের অনেকটাই দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে এরকম পতন অব্যাহত থাকলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট সৃষ্টি হবে।

এদিকে বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ১ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ হাজার ৪৩৪ কোটি এবং অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১২১ কোটি টাকা লেনদেন কমেছে।

অব্যাহত পতনের কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ৩২ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন ৪৯ শতাংশ কমেছে।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩ হাজার ৮৭ কোটি ৪৫ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৪৩৪ কোটি ২৯ লাখ ১২ হাজার ৮৭ টাকা বা ৩১.৭২ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৫২১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৪৪ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৬১৭ কোটি ৪৯ লাখ ১২ হাজার ৫৭১ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৯০৪ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯৮৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ২৮৬ কোটি ৮৫ লাখ ৮২ হাজার ৪১৭ টাকা কম হয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫৩ পয়েন্ট বা ৫.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪৫ পয়েন্ট বা ৪.১২ শতাংশ ও সিএসই-৩০ সূচক ১০০ পয়েন্ট বা ৬.৩০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১০৪৫ ও ১৪৯২ পয়েন্টে।

ওই সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৬টির বা ১৮ শতাংশের, কমেছে ২৮০টির বা ৭৮ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির বা ৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

সপ্তাহজুড়ে এ ক্যাটাগরি শেয়ারের লেনদেন কমেছে। এই সময় এ ক্যাটাগরি শেয়ার লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৬২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার বা ৮৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ, বি ক্যাটাগরি শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৪০২ কোটি ৬০ লাখ টাকার বা ১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ, এন ক্যাটাগরি শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকার বা ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং জেড ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার বা শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো- গ্রামীণফোন, ভিএফএস ডায়িং, ওরিয়ন ফার্মা, ব্রাক ব্যাংক, ইন্দো-বাংলা, ওরিয়ন ইনফিউশন, লাফার্জহোলসিম, কনফিডেন্স সিমেন্ট, গোল্ডেন হারভেস্ট ও এসকে ট্রিমস।

আগামীনিউজ/নুসরাত