ঢাকা : পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন অসহায়ত্ব বোধ করছেন। সংস্থাটির লোকবল সঙ্কটের কারনে তিনি এমনটি অনুভব করছেন বলে জানিয়েছেন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিএসইসি মাল্টিপারপাস হলে ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিটেকশন অব ফ্রড’ বিষয়ক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৫ মে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন। পরবর্তীতে ৩ দফায় তিনি পুনঃনিয়োগ লাভ করেন। চলতি বছর মে মাসে তার সর্বশেষ নিয়োগের মেয়াদ পূর্ণ হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্গানোগ্রামের (লোকবল কাঠামো) কারণে অনেক কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। কর্মকর্তা কর্মচারীসহ ১৬০ জন লোকবল নিয়ে বিএসইসি কাজ করছে। এরমধ্যে ৮৮ জনের মতো কর্মকর্তা রয়েছে। এদের নিয়ে সবগুলো খাতের কাজ করতে হচ্ছে। এতো অল্প লোকবল নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অসহায় বোধ করছি। আমাদের অর্গানোগ্রাম অসহায় করে দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক শুধুমাত্র একটি খাতের দেখভাল করছেন তাদের লোকবল ৭ থেকে ৮ হাজারের বেশি।’
ড. খায়রুল হোসেন বলেন, ‘২০১১ সালে দায়িত্ব গ্রহণেরপর দুইটি দাবি ছিল। এর একটি ফ্যাইন্যান্সিয়াল রিপোটিং অ্যাক্ট এবং দ্বিতীয়টি হলো- পুঁজিবাজার বিষয়ক মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। এগুলি বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে এসব কার্যক্রম ছাড়াও আরো অনেক আইন ও বিধান বিএসইসি তৈরি করেছে এবং কার্যকর করছে।’
ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট বিশ্লেষণের উপর কেনো আমরা গুরুত্ব দেই উল্লেখ করে খায়রুল হোসেন বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকদের প্রাধান্য দিয়ে আজকে এই মিটিংটি আয়োজন করেছি। আমি বারবার বলি যে সমাজে কি ঘটছে, ক্যাপিটাল মার্কেটে কি ঘটছে, অর্থনীতিতে কি ঘটছে এগুলোকে জনগণের সামনে তুলে ধরার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো সাংবাদিকেরা। তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া যদি পরিস্কার থাকে, তাহলে অনেক কিছুই পরিস্কার হয়ে যাবে। তাদেরকে শক্তিশালী করার জন্যই আজকের এই সেমিনার।’
অনুষ্ঠান বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ একাডেমি অব সিকিউরিটি মার্কেটিংয়ের (বিএএসএম) ডিজি মো. মাহবুবুল আলম, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ, বিএসইসির পরিচালক কামরুল আনাম খান, এফআরসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ, সিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শুভ্র কান্তি চৌধুরী, সিএমজেএফের প্রেসিডেন্ট হাসান ইমাম রুবেল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আগামীনিউজ/জুনায়েদ/সবুজ