৬ মাসে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি ২৩ হাজার কোটি

নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৫, ২০২৪, ০৬:২১ পিএম

ঢাকাঃ চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বড় ধরনের ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ২৩ হাজার ২২৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডিসেম্বর মাসেই ঘাটতি ৬ হাজার ৭৮২ কোটি ২১ লাখ টাকা। যদিও ছয় মাস শেষে রাজস্ব বিগত অর্থবছরের চেয়ে বেড়েছে ১৩.৮৯ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৮৮ ভাগ অর্জিত হলেও বড় ঘাটতি এড়াতে পারেনি সরকারি সংস্থাটি।

এ ছাড়া, ছয় মাসে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সরকারের খাতায় রাজস্ব জমা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। 

বৃহস্পতিবার এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৮ হাজার ৫৬৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। একই সময়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটে ঘাটতি হয়েছে ৬ হাজার ৭০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর আয়কর খাতে ঘাটতির পরিমাণ ৮ হাজার ৫৯২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

এনবিআরের তথ্যানুযায়ী— ওই সময়ে আমদানি খাতে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৭ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। আর আদায় হয়েছে ৪৯ হাজার ৬৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০ হাজার ৮০৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬৪ হাজার ৭৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। 

এ ছাড়া, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ওই সময়ে আয়কর ও ভ্রমণকর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৫১ হাজার ৮২৪ কোটি ২ লাখ টাকা। 

এ বিষয়ে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার গত অর্থবছর থেকেই আমদানিকে নিরুৎসাহিত করেছে। এলসি খোলার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি রয়েছে। আমদানি ঋণাত্মক হয়ে যাওয়ায় শুল্ক আদায় কমে গেছে। তবে আমাদের প্রত্যাশা ছিল ভ্যাট ও আয়কর থেকে বেশি রাজস্ব আদায় হবে।

দুই খাতে ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন কম সাফল্য নয় বলেও মনে করেন এ কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে মূসক থেকে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা, আয়কর থেকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ও আমদানি-রপ্তানি শুল্ক থেকে ১ লাখ ১৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।

এমআইসি/