প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর নামে প্রতারণা করে ১৫ কোটি টাকা আত্নসাতের ঘটনায় ১৮ মামলার পলাতক আসামী মো. রিয়াজুল ইসলাম রাজু কে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
রাজু প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর সভাপতি।
সিআইডির মিডিয়া বিভাগ বুধবার দুপুরে জানায়, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি’র) অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড এর একটি চৌকচ দল গত ৯ জানুয়ারি যশোর জেলার কোতয়ালী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তার নামে বিভিন্ন থানায় ১৮টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, আসামী মো, রিয়াজুল ইসলাম রাজু তার অপর সহযোগীদের নিয়ে ২০১০ সালে ১৫ জুলাই প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর সনদ নিয়ে যশোর, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ দলের সদস্যদের সহযোগীতায় ২০১০ সালে জুলাই মাস থেকে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রতারণার মাধ্যমে এই ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
সিআইডির তদন্তে জানা যায় যে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় অসাধু ব্যক্তিদের সহযোগীতায় শাখা অফিস খুলে গ্রাহককে লোভনীয় প্রস্তাবি দিতো তারা। গ্রাহককে করতে বছরে ৩০ শতাংশ লাভে সঞ্চয়পত্র খোলা, ৪ বছরে স্থায়ী আমানতের টাকা দ্বিগুন দেয়ার প্রলোভন দিয়ে প্রায় ২৫শত গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা আত্নসাৎ করেছে।
সিআইডি গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রাজুর সম্পত্তি অনুসন্ধান চালিয়ে প্রতারণা করে আত্নসাত করা ৫ কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পায়। তার ২টি বাড়ি, ২টি কাভার্ড ভ্যান সহ ১০ বিঘা জমির সন্ধান পাওয়া যায়। এছাড়া প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর নামে ২টি গাড়ি ও ৬টি স্থানে জমির সন্ধান পেয়েছে সিআইডি। কুষ্টিয়ার রেহানা এবং আমিরুল নামের ব্যক্তিরা বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় ২ বছরের সাজা প্রাপ্ত হয়ে তিনি ৩ মাস জেল খাটেন তিনি। এরপর থেকে তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
ভুক্তভোগী একজন গ্রাহকের অভিযোগ তদন্ত করে দুদক বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলাটি করেন। সিআইডি মামলাটি তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহন করে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি এখন সিআইডির হেফাজতে আছেন। দুদকের করা মামলাতে দীর্ঘ ৫ বছর পলাতক ছিলেন এই প্রতারক।
তদন্তে জানা যায়, এই চক্রের অন্যতম সদস্য শম্পা রাণী সাহা ২০১৫ সালে গ্রেফতার হয়ে কিছুদিন জেল খেটে জামিনে মুক্ত হন। এই প্রতারক চক্রের অন্যান্য সহযোগীরা বর্তমানে বিভিন্ন জেলাতে স্থানীয় নিবন্ধন নিয়ে কাযক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। সিআইডি প্রতারক চক্রটির মূল উৎপাটনের জন্য মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রেখেছে ।
আরআর