ফেইক আইডিতে নারীদের ব্ল্যাকমেইল করতো শোভন

নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৪, ২০২০, ০৭:০৮ পিএম

ঢাকা : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফেইক আইডি খুলে ব্যক্তিগত ছবি ছড়ানোর হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার অপরাধে একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম বিভাগ। গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তির নাম মো. কামরুল হাসান শোভন (২৪)।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘একজন নারী ভিকটিম কলেজে লেখাপড়া করা অবস্থায় ২০১৫ সালের শেষের দিকে সুজন নামের এক ছেলের সাথে পরিচয়ের সূত্রে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার ধারাবাহিকতায় ভিকটিমের কিছু ব্যক্তিগত ছবি তার মুঠোফোনে ধারণ করে এবং সংরক্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৭ সালের প্রথম দিকে তাদের সম্পর্ক শেষ হয়।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৭ নভেম্বর রাত্র সোয়া ৯ ভিকটিম বাসায় অবস্থানকালে হঠাৎ হৃদয় ফেসবুক আইডি এর ম্যাসেঞ্জার থেকে ভিকটিমের ম্যাসেঞ্জারে কিছু ব্যক্তিগত ছবিসহ ম্যাসেজ প্রদান করে যা সে দেখতে পায়। তার কিছু দিন পর ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়ে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করতে থাকে। হৃদয় খানের ম্যাসেজে বিরক্ত হয়ে ভিকটিম মিরপুর মডেল থানায় জিডি করেন।’

নাজমুল ইসলাম আরো বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তার কিছু ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে পুনরায় টাকা দাবি করে হুমকি প্রদানসহ ম্যাসেজ পাঠালে ভিকটিম গত ৩০ ডিসেম্বর ডিএমপির সিটিটিসির সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরও উক্ত আইডি হতে বার বার ম্যাসেজ পাঠানোর কারণে ভিকটিম তার পাঠানো একটি বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠায়।’

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ বলেন, ‘অভিযোগটি পাওয়ার পর এডিসি নাজমুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে অনুসন্ধান করে ফেইক ফেসবুক আইডির ইউজারকে সনাক্ত করা হয়।’

৯ জানুয়ারির অভিযানে মোঃ কামরুল হাসান শোভন (২৪) নামের এক ব্যক্তিকে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার গালিমপুর বাজারে থেকে আটক করে সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড বিভাগের একটি দল। তখন কামরুল হাসান শোভনের নিকট প্রাপ্ত মোবাইল ফোনে অভিযুক্ত ফেসবুক আইডি হৃদয় খান লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়।

জ্যোতির্ময় গোপ বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত ঘটনার বিষয়ে স্বীকার করে এবং জানায় যে উক্ত ছবি গুলো সে তার বন্ধু সুজন এর মুঠোফোন হতে কৌশলে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে। তখন তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং মিরপুর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।’

এই ঘটনায় ৯ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মিরপুর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ।

আগামীনিউজ/মোরসু/এস