ঢাকাঃ মাদক, অস্ত্র ও ওয়াকিটকিসহ গ্রেফতার ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান মোহাম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। এছাড়া ইরফান সেলিমের সহযোগী এমডি জাহিদের বিরুদ্ধেও পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
তিনি বলেন, গতকাল সোমবার (২৬অক্টোম্বর) কাউন্সিলর ইরফান মোহাম্মদ সেলিম ও তার দেহরক্ষী এমডি জাহিদকে গ্রেফতারের পর আজ দুজনের নামে পৃথক চারটি মামলা হয়েছে। সব মামলায় অস্ত্র ও মাদক আইনে হয়েছে। র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাগুলো করেছে।
গত রবিবার (২৫অক্টোম্বর) রাতে ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সংসদ সদস্য লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও সোমবার ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিফকে ধাক্কা দেয়ার পর ওয়াসিফ সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনই মেরে ফেলব। এরপর বের হয়ে ওয়াসিফকে কিলঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিফকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঘটনার পর গতকাল সোমবার (২৬অক্টোম্বর) কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ইয়াবা, অস্ত্র ও অবৈধ ওয়াকিটকি। পরে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম ইরফান সেলিমকে মাদক সেবনের দায়ে এক বছর এবং অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহার করায় ছয় মাস কারাদণ্ড দেন। এছাড়া ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সোমবার রাতে ইরফান সেলিমকে কারাগারে পাঠায় র্যাব।
এদিকে, নৌবাহিনী কর্মকর্তার দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় ইরফানের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। আগামীকাল বুধবার (২৮অক্টোমবর) এ ব্যাপারে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীনিউজ/জেহিন