নোয়াখালীঃ জেলার বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের শিকার নারীর সঙ্গে দেখা করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন।
আজ মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিতও শুনেছেন তিনি। বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সঙ্গে ৩০ মিনিটে একান্তে কথা বলেন ডিআইজি।
নির্যাতনের শিকার নারী বলেন, ওরা অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি আমার সম্ভ্রমটা রক্ষা করতে পেরেছি। কিন্তু তারা ভিডিওটা করে ফেলেছে। ঘটনার পরও তারা আমাকে একাধিকবার কুপ্রস্তাব দেয় যে, তুমি এসব করো, তা না হলে ভিডিও ফাঁস করে দেবো। শেষপর্যন্ত তারা ভিডিও ছেড়েই ছিলো।
তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার ৭-৮ দিন পর নির্যাতনের বিষয়টি ইউপি মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে জানান। কিন্তু ইউপি মেম্বার ঘটনাটি চেপে যেতে বলেন।
এ বিষয়ে ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্যাতিতা নারীর মুখে বিস্তারিত শুনেছি। এ ঘটনায় করণীয় সম্পর্কে পুলিশ সদস্যদের দিক নির্দেশনা দিয়েছি। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি ভুক্তভোগী ও তার স্বজনদের নিরাপত্তায় পুলিশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে বলেছি। নোয়াখালীতে দেলোয়ার বাহিনীর মতো তথাকথিত যেসব বাহিনী রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
পরে নোয়াখালীর এসপি আলমগীর হোসেন, এডিশনাল এসপি মো. শাহজাহান শেখ, বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. হারুনুর রশিদ চৌধুরীসহ ঘটনাস্থল বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার সেই টিনের ঘর পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি।
এদিকে বেগমগঞ্জের ঘটনায় ইউপি মেম্বারসহ আরো দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ঢাকা ও নোয়াখালীতে এখন পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত চারজনসহ ছয় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সার্কেলের এডিশনাল এসপি মো. শাহজাহান শেখ জানান, পলাতক আসামি সাজুকে সোমবার রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর মোয়াজ্জেম হোসেনকে বেগমগঞ্জের জয় কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া প্রধান আসামি নূর হোসেন বাদলকে রোববার রাতেই বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
আগামীনিউজ/আশা