ঢাকা: পারিবারিক কলহ ও শশুর বাড়ি থেকে যৌতুকের চার লাখ টাকা না পেয়ে ক্ষোভের বশীভূত হয়ে পরিকল্পনা করে নিজের তিন বছরের সন্তান মাহিমকে হত্যা করেছেন পিতা জুলহাস।
এ ঘটনায় ভিকটিম মাহিমকে শনিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় মাতুয়াইল বাসার সামনে থেকে অপহরণ করে প্রতিবেশী জুয়েল। এরপরে তারা ভিকটিমকে ডেমরার দেইল্লা নির্জন এলাকায় নিয়ে জুসের সাথে আটটি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পান করায়। ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে শনিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় মৃধাবাড়ি সংলগ্ন গ্রীন মডেল টাউন এলাকার কাশবনের ভিতর বালি চাপা দিয়ে রেখে আসে জুলহাস ও জুয়েল।
সোমবার (২৯ জুন) ভিকটিমের পিতা জুলহাস র্যাব-১০ এ অপহরণের অভিযোগ করেন ও যাত্রাবাড়ী থানায় একটি জিডিও করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইল মৃধাবাড়ি এলাকায় র্যাব-১০ এর একটি অভিযানে অপহরণকারীকে আটক করা হয়। অপহরণকারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিমের পিতা জুলহাসকে মাতুয়াইল দরবার শরীফ মোড় এলাকা থেকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন: পিতা- জুলহাস ওরফে ফারুক ওরফে গুড্ডা (৩১) ও জুয়েল ব্যাপারী (২০)।
বুধবার (১ জুলাই) বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১০ এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মো. কাইমুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, ভিক্টিমের পিতা জুলহাস আগের থেকেই যৌতুকের টাকা দাবিসহ বিদেশে যাওয়ার জন্য চার লাখ টাকা দাবি করে শ্বশুর বাড়িতে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিল। পারিবারিক কলহ এবং শ্বশুরবাড়ি হতে টাকা না পেয়ে ক্ষোভের বশীভূত হয়ে নিজের সন্তানকে হত্যার জন্য প্রতিবেশী জুয়েলকে নিয়ে পরিকল্পনা করো। পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার (২৭ জুন) জুসের সাথে আটটি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শিশু মাহিমকে হত্যা করে। মাতুয়াইল মৃধাবাড়ী গ্রীন মডেল টাউন এলাকার কাশবনের ভিতর বালি চাপা দিয়ে রাখেন।
তিনি বলেন, ভিকটিমের মা স্মৃতি আক্তার বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
আগামীনিউজ/আরিফ/এমআর