ঢাকা: মানব ও অবৈধ মুদ্রা পাচার তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে কুয়েতে আটক বাংলাদেশের সাংসদ কাজী শহিদ ইসলামের (পাপুল) তথ্যের ভিত্তিতে দেশটির জনশক্তি কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক আহমেদ আল মুসা পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কুয়েতের মন্ত্রিসভার এক সদস্য ওই কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে দেননি। তিনি আহমেদ মুসাকে বলে দিয়েছেন বাংলাদেশের আটক সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্তের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তাকে জনশক্তি কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক থাকতে হবে।
কুয়েতের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের আটক সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম আসছে, তাদের মধ্যে আহমেদ আল মুসার নামটিও আলোচনায় রয়েছে। এটা জানতে পেরে আহমেদ আল মুসা পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কুয়েতের অর্থনীতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মরিয়ম আল আকিল তাকে স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আহমেদ মুসাকে স্বপদে বহাল থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, কুয়েতের জনশক্তি কর্তৃপক্ষের এক আন্ডার সেক্রেটারিকে গত ১৬ জুন তিন মাসের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। সেদিনই বরখাস্ত হওয়া তিনজনকে আটক করা হয়েছে। কাজী শহীদ তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে জানিয়েছেন, ওই কর্মকর্তা তাকে ব্যবসায়িক কাজে সুবিধা পেতে সাহায্য করেছেন।
এদিকে, তদন্ত কর্মকর্তাদের সূত্রে আরবী দৈনিক আল কাবাস ও আরব টাইমসের খবরে বলা হচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত একজন কর্ণেল, দুইজন সরকারের জনশক্তি কর্তৃপক্ষের পরিচালক ও এক নারী ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রথম তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা কাজী শহিদের দেওয়া ঘুষ পদস্থ একজন কর্মকর্তাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। আর ওই পদস্থ কর্মকর্তা ঘুষ নেওয়ার মাধ্যমে কাজী শহিদকে ভিসা বাণিজ্যে সহায়তা করতেন। কুয়েতের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক নানা রকম সুবিধার বিনিময়ে বাংলাদেশের সাংসদকে সহায়তা করতেন।
পাপুলের দেওয়া তথ্যমতে কুয়েতের তদন্ত কর্মকর্তারা নিশ্চিত হয়েছেন, ওই চার ব্যক্তি কাজী শহিদদের কাছ থেকে নানা রকম সুবিধা নিয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মানব ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সাংসদের মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে।
আগামীনিউজ/ইমরান/এমআর