ছেলের নির্যাতন থেকে বাঁচতে সরকারের বিভিন্ন মহলসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারে দ্বারে ঘুরেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এক বৃদ্ধা মা। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
বুধবার (৪ মার্চ ) সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পল্লবী এলাকার বাসিন্দা ৭৬ বছর বয়সী সাহিদা রহমান জানান, তার ছোট ছেলে হাফিজুর রহমান জুয়েল দীর্ঘদিন জার্মান বসবাস করছে। মাঝেমধ্যে দেশে আসতো। পল্লবী থানাধীন ১০ নম্বর সেকশন, ১ নম্বর লেন, এ বøকের ৬ নম্বর বাড়িটি তাদের। বাড়ির ৮২ শতাংশ মালিক তার ছোট ছেলে জুয়েলের। কিন্তু সে বিদেশে থাকাবস্থায় জোর করে তার বড় ছেলে আজিজুর রহমান প্রায় পুরো বাড়িটি দখলে নিয়ে নেয়। তার এ কাজে বাঁধা দিতে গিয়ে তিনি নাজেহাল হন। এমনকি তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতো আজিজুর ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগম। বৃদ্ধা হওয়ার পরও আমাকে ৬ তলার একটি ফ্লাটে থাকার ব্যবস্থা করেছে, যা অমানবিক। এছাড়া তাকে কোনো ভরনপোষনও দেননা তার বড় ছেলে আজিজ।
তিনি আরো জানান, তার স্বামী জিল্লুর রহমান ২২ বছর আগে মারা যান। এরপর থেকেই মূলত বাড়ি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বড় ছেলে আজিজ। এছাড়া হাফিজের স্বাক্ষর নকল করে গ্রামীন ফোনকে বাড়ির ছাদে টাওয়ার নির্মাণের অনুমতি দিয়ে প্রতি মাসে ভাড়া নিচ্ছে আজিজ। এসব ঘটনায় আজিজের বিরুদ্ধে মামলা করলে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। পরে গত ১২ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পেয়ে বাসায় এসেই তার ওপর হামলা চালায় এবং মারধর করে। বর্তমানে হাফিজ দেশে থাকায় তাকেও বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। বাসার আশপাশে প্রায়ই অপিরিচিত লোকজনের আনাগোনা দেখে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছেন তিনি। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
আগামীনিউজ/রাফি/হাসি