রেলওয়ে থানার বড় চ্যালেঞ্জ ভাসমান মানুষ ও অপমৃত্যু

আরিফুর রহমান ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০, ০৭:৪৩ পিএম

ঢাকা : রাজধানীর কমলাপুরের রেলওয়ে থানা পুলিশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ভাসমান মানুষ ও রেল লাইনে কাটা পড়ে অপমৃত্যু। আগামীনিউজ ডটকমের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ওমর ফারুক।

তিনি জানান, কমলাপুর রেল স্টেশন এলাকায় আগে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংগঠিত হতো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে টিকেট কালোবাজারি, মোবাইল ছিনতাই, মাদক ও যৌনকর্মী। বর্তমানে যা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেন সহকারী এ পুলিশ সুপার। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা ঘুরে তার কথার সত্যতাও পাওয়া যায়।

এসময় তিনি আরো বলেন, অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হলেও আমাদের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভাসমান মানুষ ও রেল লাইনে কাটা পড়ে অপমৃত্যু। মানুষের অসাবধনাতার কারণেই রেল লাইনে কাটা পড়া মৃত্যুর হার কমানো যাচ্ছে না।

এছাড়া প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ কমলাপুর দিয়ে যাতায়াত করায় ভাসমান মানুষদের নিয়ন্ত্রণ করাও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিব-উল-হোসেন আগামীনিউজ ডটকমকে বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আমি এখানে দায়িত্ব পালন করছি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই টিকেট কালোবাজারি, ছিনতাই ও মাদক বন্ধের উপর জোর দিয়েছি। যার সফলতাও আমরা অর্জন করতে পেরেছি। আর এ কার্য সম্পাদন করতে ঢাকা রেলওয়ে থানায় প্রায় ৭০ জন সদস্য কাজ করছে বলে আগামীনিউজ ডটকমকে জানান তিনি।

তিনি জানান, ‘চলতি মাসে এখন পর্যন্ত আমার থানায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি মারামারির মামলা অন্যটি হত্যা মামলা। অথচ অন্য সময়ে প্রতি মাসে গড়ে ১০টির উপরে মামলা থাকে।’

তবে, সহকারী পুলিশ সুপার মো. ওমর ফারুকের মতো ওসিও জানালেন তাদের এখন বড় চ্যালেঞ্জ ভাসমান মানুষ আর রেল লাইনে কাটা পড়ে মৃত্যু।

আর ভাসমানদের মধ্যে বড় একটা অংশ হচ্ছে শিশু। তিনি জানান, ‘শিশুদের হিসেব পুরোই আলাদা। তাদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফেরত দিলে বা ছেড়ে দিলে তারা আবারো এখানে চলে আসে। এসে ভিক্ষাবৃত্তি ও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। তাই আমরা চেষ্টা করছি তাদের পুর্নবাসন করে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নিতে।

আগামীনিউজ/আরিফ/সবুজ