দুদিন পর স্বাভাবিক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম আগস্ট ১০, ২০২৩, ০১:৩০ পিএম
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামঃ পানি নেমে যাওয়ায় দুই দিন বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে সড়কটিতে যান চলাচল শুরু হয়। 

এর আগে কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মহাসড়কটির বিভিন্ন অংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, সড়কের কোনো অংশে এখন পানি নেই। যান চলাচল একেবারে স্বাভাবিক। আমরা সকাল থেকে সড়কে রয়েছি। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়ে সেটি নিরূপণের চেষ্টা করছি। 

হাইওয়ে পুলিশের দোহাজারি থানার ওসি খান মো. ইরফান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই সড়কে যানবহন চলাচল করছে।

তিনি বলেন, গতকাল (বুধবার) থেকে পানি কমা শুরু হয়েছিল। আজ সড়কের কোথাও পানি নেই। সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা ভারী বর্ষণ এবং সাংগু নদী, ডলু নদী ও হাঙ্গর খাল দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পানিবন্দী মানুষ আশ্রয় নিয়েছে আশেপাশের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে।

জেলা, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের হিসাব মতে, সাতকানিয়ায় সাড়ে ২২ হাজার পরিবার, চন্দনাইশে ৫ হাজার, পটিয়ায় ১৬ হাজার ৫৯৫ পরিবার এবং লোহাগাড়ায় ৪ হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সপ্তাহখানেক আগ থেকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়া উপজেলা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের হাশিমপুর ইউনিয়নের বড়পাড়া কসাইপাড়া থেকে সাতকানিয়ার কেরানী হাটে পানি উঠে যায়।

চন্দনাইশ কলেজ গেট এলাকা থেকে কেরানিহাট অংশে সড়কে পানি বাড়তে শুরু করলে সোমবার রাতে মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়। পরে রাত ৩টার পর থেকে যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়, তাতে দুর্ভোগে পড়েন বয়স্ক ও শিশুসহ অন্য যাত্রীরা।

বুইউ