যশোরের শার্শায় ইউপি সদস্য বাবলু হত্যা মামলায় ১৭ জনের নামে চার্জশিট

উপজেলা প্রতিনিধি, বেনাপোল (যশোর) জুলাই ২৩, ২০২৩, ০৪:২৯ পিএম

যশোরঃ শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আশানুর জামান বাবলু হত্যা মামলায় ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ। হত্যার ঘটনায় একটি এবং বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অপর চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই আরিফুল ইসলাম আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।
হত্যা ও বিস্ফোরকের চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, শার্শা উপজেলার মহিষাকুড়া গ্রামের মৃত নুর আলী মন্ডলের ছেলে আব্দুল হাকিম (৫০) ও শাহাবাজ আলী (৪৭), আমির আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী (৩৩), আব্দুর রশিদের ছেলে আশানুর (২৮), মৃত কাশেম আলীর ছেলে তোহিদুর রহমান (৩৮) ও ইলিয়াস হোসেন (৪১), মৃত ছাদেক আলীর ছেলে লুৎফার রহমান (৫৫) ও আবেদার রহমান ওরফে আব্দার আলী (৫৮), আমির আলীর ছেলে সাহেব আলী ওরফে বিল্লাল হোসেন (৪৮), আব্দার মোল্লার ছেলে জসিম উদ্দিন (২৫) ও কলিম উদ্দীন (৩২), হবিবর রহমানের ছেলে নাসির উদ্দীন (২৩), নরিম গাজীর ছেলে অসীম গাজী (৩৭), ওয়াজেদ আলীর ছেলে আব্দুল কাদের (৩৬), আতিয়ার রহমানের ছেলে মহাসিন কবির (৪০), ইলিয়াস হোসেনের ছেলে হুসাইন আহমেদ ওরফে হোসাইন (১৯) ও ইছাপুর পশ্চিমপাড়ার কিতাব বিশ্বাসের ছেলে বকুল হোসেন (৪০)।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মহিষাকুড়া পশ্চিমপাড়ার রাহাজান আলী মোল্লার ছেলে আশানুর জামান বাবলু বাগআঁচড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। পূর্ব শক্রতা এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একটি চক্রের সাথে বাবলু মেম্বারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। গত বছরের ২১ জুন রাত পৌনে ১০টার দিকে বাবলু শার্শার বালুন্ডা বাজারের ভাই ভাই ফার্নিচারের সামনে দাঁড়িয়ে তার ভাই সাইদ, জাহিদ ও বদরুলের সাথে গল্প করছিলেন। এ সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র, লোহার রড ও বোমা নিয়ে সেখানে গিয়ে বাবলুর ওপর হামলা চালান। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর তারা ব্যাপক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। এ ঘটনায় নিহতের পিতা রাহাজান আলী মোল্লা ১৩ জনকে আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের এসআই শংকর কুমার বিশ্বাস। এরপর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান ডিবি পুলিশের এসআই মো. আরিফুল ইসলাম। মামলার তদন্তকালে এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়াও আরও ৪ জনের সম্পৃক্ততা পান। তদন্ত শেষে তিনি ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যার ঘটনায় একটি এবং একই ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে আরেকটি চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন তিনি।

মোঃ মনির হোসেন/বুইউ