শার্শায় প্রধান শিক্ষকের মনগড়া প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে

বেনাপোল প্রতিনিধি জুন ১৭, ২০২৩, ০৮:৩৯ পিএম
ফাইল ছবি

যশোরঃ যশোরের শার্শা উপজেলার বুরুজ বাগান পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মনগড়া প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। মানহীন এমন প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার কারণে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। 


প্রধান শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গিয়ে ঘটনা অভিভাবকদের জানালে অভিভাবকরা চরম হতাশা প্রকাশ করেন। 
শার্শা উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে চলতি অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে অন্যান্য বিদ্যালয়ে শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও বুরুজ বাগান পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মনগড়া প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। 


জানা যায়, বুরুজ বাগান পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক। সে কারণে প্রতি বছর যশোরের কথিত নামধারী এক প্রকাশনীর নিকট থেকে মোটা অংকের অনৈতিক সুবিধা নিয়ে থাকেন। যে কারণে ঐ প্রকাশনীর মন রক্ষার্থে তাদের দেওয়া মানহীন প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাধ্য করছে শিক্ষার্থীদের। এত করে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষার মুল্যায়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ক্লাসের ভালো শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডে হতাশা প্রকাশ করেছেন। 

ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত প্রশ্নে নেওয়ার কথা থাকলেও তা না নিয়ে প্রধান শিক্ষক অন্য প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নিচ্ছেন। এ প্রশ্নের মান খুবই খারাপ। এতে করে আমাদের লেখাপড়ার সঠিক মুল্যায়ন নষ্ট হচ্ছে। আমরা পাঠ্য বইয়ের সঠিক প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে চাই।

প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেয়ে বলেন, ঘটনা সঠিক না । পরীক্ষা নিয়ম অনুযায়ী হচ্ছে। 

শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন, শিক্ষা বোর্ড কতৃক নির্ধারিত প্রশ্নের বাহিরে অন্য কোন প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নাই। যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমন করে থাকে তাহলে ঐ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পালকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, যদি এমটি হয়ে থাকে তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


মনির হোসেন/এমআইসি