জামালপুরঃ জেলার বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু ও তার ছেলে ফাহিম ফরমান রিফাতসহ ২২ জনের আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) দুপুর একটার দিকে নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা। তিনি জানান, মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জামালপুরের পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন বলেন, থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ১০ জন গ্রেফতার রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌরসভার পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন গোলাম রব্বানী নাদিম। সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে ১০-১২ জন তার ওপর হামলা করেন। পরে স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। রাত দেড়টার দিকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পরদিন সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
হত্যাকাণ্ডের পরই পালিয়ে যাওয়া মামলার প্রধান আসামি বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আজ সকালে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া তাকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুইউ