রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন পিতা, মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কন্যা

উপজেলা প্রতিনিধি, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) জুন ১৬, ২০২৩, ০২:২৭ পিএম

বগুড়াঃ ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে টেবিল প্রতীকে প্রার্থী হয়ে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন আফতাব উদ্দিন শেখ। স্থানীয় এলাকায় তিনি পরিচিত ছিলেন আফতাব মাস্টার নামে। এবার বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলাধীন তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ইস্ত্রি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রয়াত আফতাব উদ্দিন শেখের কন্যা আউলিয়া খন্দকার। তালোড়া পৌরসভার ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২১ জুন। 

মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল আগামীনিউজ.কম ৫ম বর্ষে পদার্পণ করায় অভিনন্দন জানিয়ে এক সাক্ষাতকারে আউলিয়া খন্দকার বলেন, তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হতে পারলে প্রয়াত পিতা আফতাব উদ্দিন শেখের দর্শন বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে আউলিয়া খন্দকার বলেন, নাগরিকরা যখন পৌরসভা থেকে কোনো সহায়তা পেয়ে থাকেন, তখন তাদের রোদের মধ্য দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কখনও কখনও লাইন থেকে তাদের ঠেলে ফেলেও দেয়া হয়। এভাবে সহায়তা পেতে কষ্ট পায় বয়স্ক এবং অসুস্থ নারী-পুরুষ। এখন ভোট চাইতে প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি আসছেন। আমি চাই এভাবে'ই বাড়ি বাড়ি এসে তালিকাভুক্ত সেবাভোগীদের হাতে যেন সহায়তা তুলে দেয় নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। আমি নির্বাচিত হলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌরসভার সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে।

বাল্যবিবাহ বন্ধ করার জন্য দেয়া প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আউলিয়া খন্দকার বলেন, সংসারজীবনে অশান্তি এবং বিচ্ছেদের মূলকারণ বাল্যবিবাহ। আমার ১৫ বছর বয়সে নবম শ্রেণির ছাত্রী থাকা অবস্থায় বিয়ে হয়। অল্পবয়সে বিয়ের ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিবাহিত জীবনে নির্যাতিত হয়েছি। মেয়দ পদে নির্বাচিত হলে অভিভাবক মহলে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

তালাকপ্রাপ্তা নারীদের কর্মসংস্থান সম্পর্কে আউলিয়া খন্দকার বলেন, মেয়র পদে নির্বাচিত হলে তালাকপ্রাপ্তা নারীসহ অসহায় নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। বাঁশের তৈরি পণ্য ও নকশি কাঁথা তৈরির জন্য নিজে'ই প্রশিক্ষক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করব। তাছাড়া আমি নিজেও একজন উদ্যোক্তা। নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতেও কাজ করব। 

এছাড়া নাগর নদের দূষণ ও নদ দখল ব্যথিত করে আউলিয়া খন্দকারকে। নির্বাচিত হলে তালোড়ার নাগরিক জীবনের সাথে জড়িত নাগর নদকে দূষণ ও দখলমুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, পিতা আফতাব উদ্দিন শেখের আদি নিবাস দুপচাঁচিয়া উপজেলার ডাকাহার-মাসিন্দা এলাকায়। ১৯৭৯ সালের দিকে তার পিতার পরিবার স্থানান্তরিত হয় একই উপজেলাধীন তালোড়া পৌরসভার লাফাপাড়া এলাকায়। আউলিয়া খন্দকার ১০ ভাই-বোনের মধ্যে তার পিতার তৃতীয় স্ত্রীর কন্যা। বর্তমানে সিঙ্গেল মাদার হিসাবে পিত্রালয়ে বসবাস করছেন আউলিয়া খন্দকার। 

দেওয়ান পলাশ/বুইউ