বগুড়াঃ দুপচাঁচিয়া উপজেলাধীন তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার দায়ে ১২ জনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিএনপি। আগামী ২১ জুন ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বহিষ্কৃতদের মধ্যে অন্তত ২ জন প্রার্থী।
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল জলিল খন্দকার তালোড়া পৌর বিএনপি'র সভাপতি ছিলেন। ইতোপূর্বে মো. আব্দুল জলিল খন্দকার তালোড়া পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পৌরসভার দ্বিতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র মো. আমিরুল ইসলাম বকুলের কাছে ধরাশায়ী হন তিনি। এবার তালোড়া পৌরসভার তৃতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে জগ প্রতীকে লড়ছেন বহিষ্কৃত মো. আব্দুল জলিল খন্দকার। তবে ভোটের মাঠ জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনে মো. আব্দুল জলিল শক্তিশালী প্রার্থী।
বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত অপর মেয়র প্রার্থী মো. আবু হোসেন সরকার বগুড়া জেলা বিএনপির জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নারিকেল গাছ প্রতীকে প্রথমবারের মতো লড়ছেন। নির্বাচনে তিনিও দিন দিন শক্ত অবস্থান গড়ে তুলছেন বলে খবর রয়েছে।
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত অপর ১০ জন হলেন—তালোড়া পৌরসভাধীন ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সহসভাপতি মো. হারুন তরফদার, পৌর বিএনপি'র সহসম্পাদক মো. সৈয়দ রাজা, সহসভাপতি মো. আব্দুল মান্নান, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম আলী মুকুল, পৌর বিএনপি'র সহ কোষাধ্যক্ষ তানভীর আহমেদ ফেরদৌস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল ইসলাম, পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল প্রামানিক, স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক হাসেম আলী প্রামানিক, সহমহিলা বিষয়ক সম্পাদক সোনিয়া রাজভর এবং সদস্য মারুফ হাসান।
১৩ জুন তারিখে বিএনপি'র সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত পত্রে ওই বহিষ্কারের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। পত্রে আরও বলা হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৯ জুন তাদের কাছে কারণ দর্শানোর পত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পত্রপ্রাপ্তির পরেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো জবাব দেয়া হয়নি।
দেওয়ান পলাশ/বুইউ