রাজবাড়ীঃ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জে পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহনের চাপ নেই। এমনকি নেই কোনো সিরিয়াল। এ কারণে ঘাট এলাকায় কোনো ভোগান্তিও নেই। স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছেন ঈদ যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন(বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, এবার ঈদের আগে ও পরে ঘাটে দুর্ভোগের আশঙ্কা নেই। যাত্রীরা স্বস্তিতেই তাদের ঈদ যাত্রা শেষ করতে পারবে। তবে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকায় এই রুটে বাড়তে পারে মোটরসাইকেলের চাপ। তবে চাপ বাড়লেও থাকবে না কোন ভোগান্তি।
সরেজমিনে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ব্যস্ততম ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ফাঁকা। ঢাকাগামী দূরপাল্লার পরিবহন বাসও তেমন চোখে পড়ার মতোন ছিল না। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত যেখানে আগে গাড়ির সিরিয়াল থাকতো সেখানে এখন কোনো সিরিয়াল নেই। ঘাটে আসা যানবাহনগুলো সরাসরি ওঠে পড়ছে ফেরিতে। ফেরিগুলো অপেক্ষা করছে যানবাহনের জন্য। এছাড়াও ঘাটের হকারদের নেই কোনো হাকডাক। ঘাট কেন্দ্রিক অধিকাংশ হোটেলও বন্ধ রয়েছে কয়েকমাস ধরে। দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের চিত্র এখন এমনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) দৌলতদিয়া ঘাট ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আফতাব হোসেন জানান, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৩৩টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঈদের আগে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে। তবে যাত্রীর ধারণ ক্ষমতা মেনেই পারাপার করা হবে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, ঈদকে সামনে রেখে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। এখনও ঈদ যাত্রা শুরু হয়নি। তবে দুই তিনদিন পর থেকে হয়তো চাপ বাড়বে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য ২০ ফেরি চালু থাকবে। পাশাপাশি ৩ ঘাটের ৬ পকেট চালু থাকবে।
বুইউ