টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতি, আহত ৭

জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল এপ্রিল ৪, ২০২৩, ১১:৩৭ এএম

টাঙ্গাইলঃ মধুপুরে চলন্ত যাত্রীবা‌হী বা‌সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ক‌য়েকজন ডাকা‌তির প্রতিবাদ কর‌তে গি‌য়ে ৭ যাত্রী আহত হ‌য়ে‌ছে। সোমবার (৩ এ‌প্রিল ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মন‌সিংহ আঞ্চ‌লিক মহাসড়‌কের উপ‌জেলার র‌ক্তিপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘ‌টে। 

আহত‌দের ম‌ধ্যে দুইজ‌নের প‌রিচয় পাওয়া গে‌ছে। এরা হ‌লেন, জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা গ্রামের মসির উদ্দিনের ছেলে তারা মিয়া (৪০) ও সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী কাকলি বেগম (৩৫)। তা‌দের উন্নত চি‌কিৎসার জন‌্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। এছাড়া বাকি ৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেছে।

এরআ‌গে চন্দ্রা থেকে ডাকাতদল জামালপুরগামী মাদারগঞ্জ স্পেশাল পরিবহন
বাস‌টি‌তে উ‌ঠে দেওলাবাড়ি এলাকায় পৌঁছা‌লে বাস‌টি নিয়ন্ত্রণে নি‌য়ে যাত্রী‌দের কাছ থে‌কে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ও টাকাসহ ছিনতাই ক‌রে। 

পুলিশ ও বাসযাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাদারগঞ্জ স্পেশাল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে জামালপুরের মাদারগঞ্জ যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে গাজীপুরের চন্দ্র থেকে ৭/৮ জনের ডাকাত দল যাত্রীবেশে গাড়িতে ওঠে। বাসটি মধুপুর উপজেলার দেওলাবাড়ি পার হলে ডাকাল দল বাসটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। প‌রে তারা যাত্রীদের জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। এ সময় প্রতিবাদ করতে গি‌য়ে ডাকাত দল ৭ যাত্রীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। প‌রে ডাকাতদল মধুপুরের রক্তিপাড়ার উত্তর পাশে নরকোণা এলাকায় নেমে পালিয়ে যায়।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল আমিন বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

উ‌ল্লেখ‌্য, এরআ‌গে ২০২২ সা‌লের ৩ আগষ্ট কু‌ষ্টিয়া থে‌কে চট্টগ্রামী ঈগল প‌রিবহ‌নের এক‌টি যাত্রীবা‌হি বা‌স ডাকা‌তির কব‌লে প‌ড়ে। এ‌তে তিন ঘন্টা বাস‌টি নিয়ন্ত্রণ নি‌য়ে যাত্রী‌দের অ‌স্ত্রের ভয় দে‌খি‌য়ে হাত-পা চোখ মুখ বে‌ধে, ডাকা‌তি ও এক নারী যাত্রী‌কে ধর্ষণ করা হয়। প‌রে বাস‌টি জেলার মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে দূর্ঘটনার কব‌লে পড়‌লে ডাকাতদল পা‌লি‌য়ে যায়। প‌রে স্থানীয়রা যাত্রী‌দের উদ্ধার ক‌রে।

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা/বুইউ