লক্ষ্মীপুরঃ ‘ও বাবারে রে, তুমি কোথায় হারাই গেলা রে। ওরে বাবারে, ও বাবারে, তুমি কোথায় হারাই গেলা রে। বলছো ওমরা করে দেশে আইয়া কবে আইবা রে...।’ এভাবেই আর্তনাদ করে যাচ্ছেন সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি সবুজ হোসাইনের বাবা মো. হারুন। মঙ্গলবার রাতে (২৮ মার্চ) মুত্যুর খবর শোনার পর থেকে সবুজের বাবা-মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ আর কান্না থামছেই না। সৌদি আরবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সবুজসহ ১৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
সবুজ লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে চরমোহনা ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মো. হারুনের বড় ছেলে। ৪ ভাই-বোনের মধ্যে সবুজ পরিবারে দ্বিতীয় ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সবুজের বাবা হারুন মিয়া মাছ বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। আর্থিকভাবে তেমন একটা স্বচ্ছল নয় তারা। প্রায় ৩ বছর আগে সবুজকে সৌদি আরব পাঠানো হয়। তার পাঠানো টাকাতেই পরিবার স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছিলেন। খুব শিগগিরই সবুজ দেশে ফেরার কথা ছিলো। এর আগে তিনি ওমরাহ করবেন বলেছিলেন। কিন্তু ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে সোমবার (২৭ মার্চ) বাস দুর্ঘটনায় সবুজ আহত হন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সৌদি থেকে খবর আসে, সবুজ মারা গেছেন।
এদিকে খবর পেয়ে রাতেই সবুজের বাড়িতে যান রায়পুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক আজিজ জনি। এসময় তিনি সবুজের বাবার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু সবুজের বাবার বুক ফাটা আর্তনাদ আর কান্না ছাড়া কোনো শব্দ ছিল না বলে জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা জনি। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা।
ইউপি চেয়ারম্যান শফিক পাঠান বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। সবুজ ছেলেটি ভালো ছিল। পরিবারের সবাই কান্নাকাটি করছেন। সবুজের মৃত্যুতে পুরো চরমোহনা ইউপিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বুইউ