চাঁদপুরঃ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে এবং সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রতিটি মুহূর্তে অনুপ্রেরণার উৎস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, এই বাঙালি জাতি হাজার বছর ধরে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ ছিল এবং স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখছিল। অনেক বড় নেতা ও বিপ্লবী আমরা পেয়েছি। তাঁরা বিপ্লব ও সংগ্রাম করেছেন, কিন্তু কখনোই দেশকে স্বাধীন করতে পারেননি। পিতা মুজিবই একমাত্র নেতা, যিনি একেবারে ভাষার আন্দোলন দিয়ে শুরু করে স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন করে, স্বাধিকারের আন্দোলন করে এই দেশকে স্বাধীন করেছেন। আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন-সার্বভৌম জাতি-রাষ্ট্র। সে জন্যই তিনি আমাদের জাতির পিতা।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য, মানুষের সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে বাঙালি দাঁড়াবে, সে জন্য বঙ্গবন্ধু তাঁর সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি যেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, তাঁর কন্যা সমস্ত অপশক্তিকে প্রতিহত করে সেভাবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে এবং সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রতিটি মুহূর্তে অনুপ্রেরণার উৎস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সহসভাপতি জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাস, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার প্রমুখ।
সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির লোকজন উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার আগে জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন শিক্ষামন্ত্রীসহ অতিথিরা।
এর আগে সকাল ৮টায় শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে দিবসটি উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। সেখানে মন্ত্রী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বুইউ