তিন হাজার টাকার জন্য বন্ধুকে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর মার্চ ১৬, ২০২৩, ০২:৩৫ পিএম

দিনাজপুরঃ চিরিবন্দরে পাওনা তিন হাজার টাকার জন্য দুই বন্ধু মিলে আরেক বন্ধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মিরাজুল ইসলাম। এ ঘটনায় মিরাজের বাবা মামলা করলে বুধবার দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন- লিটন ইসলাম ও আসিফ ইসলাম। তারা তিনজনই একে অপরের বন্ধু। আসিফ চিরিরবন্দরের নশরতপুর ইউনিয়নের নদীরপাড় গ্রামের এবং লিটন একই ইউনিয়নের রানীপুর গ্রামের বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার ( ১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় গ্রেপ্তার দুই স্কুলছাত্রকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার দুজন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় চিরিরবন্দরের ১২ নম্বর আলোকডিহি ইউনিয়নের গছাহার গ্রামে রাস্তার উপর থেকে স্কুলছাত্র মিরাজুল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মিরাজুল নশরতপুর ইউপির কিসমত এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে। সে পালপাড়া দ্বি-মুখী পল্লী উন্নয়ন আদর্শ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। হত্যার ঘটনায় নিহতের দুই বন্ধুকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজকে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর বাদশা রনি বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী নিহত মিরাজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, আসামির রক্তমাখা কাপড় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু রক্তমাখা অবস্থায় ভুট্টাক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিদের তথ্যমতে নিহত মিরাজ অভিযুক্ত দুজন খুব ভাল বন্ধু। তারা একই সাথে চলাফেরা করত। প্রায় এক বছর আগে নিহত মিরাজ আসামি আসিফ ইসলামের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা ধার নেওয়া নিয়ে মনোমালিন্য শুরু হয়। 

পুলিশ জানায়, পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯টায় আসিফ ফোন দিয়ে মিরাজকে কৌশলে ডেকে নিয়ে মিরাজের বাইসাইকেল যোগে তিনজন হত্যার ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা করে। রাত আনুমানিক ১০টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তারপর আসিফের নির্দেশে লিটন পেছন থেকে নিহত মিরাজের গলায় পোঁচ দেয়। মিরাজ সাইকেল থেকে মাটিতে পড়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য লিটন ইসলাম গলায় আরেকটি পোঁচ দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত হলে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি পাশের ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে দেয়। তারপর তারা সেখান থেকে চলে আসে। তারা কাপড়চোপড় খুলে বাড়ির পাশে ময়লার স্তুপে ফেলে দেয়। নিহত মিরাজের মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে আসিফ ইসলাম তার বাড়িতে রেখে দেয়।

তিনি বলেন, ‘মুঠোফোনের কলের সূত্র ধরে প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার খুনে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা কাপড় । এ ছাড়া মিরাজুলের ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে আসিফের বাসায়। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বুইউ