খাগড়াছড়িঃ খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার কসম কার্বারী ত্রিপুরা পাড়ার ৩ সন্তানের এক জননীকে (৩৭) শ্লীলতাহানির অভিযোগে মোটরসাইকেলচালক মো. আবদুল করিমকে (৩৫) পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
শুক্রবার (১০ মার্চ) মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনচারুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত আব্দুল করিম ডাইনছড়ি পশ্চিম পাড়ার আবদুল কাদের ফরাজী ও আলেয়া বেগমের পুত্র।
বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও বাদীর অভিযোগপত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২নম্বর বাটনাতলী ইউনিয়নের ছদুরখীলস্থ তিনঘরিয়া পাড়া প্রকাশ কসম কার্বারী ত্রিপুরা পাড়া জনৈক ৩ সন্তানের জননী বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় সন্তানের উপবৃত্তি সংক্রান্ত ফরমে স্বাক্ষর দিতে ডাইনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে যায়।
কাজ শেষে মেঠোপথে একা একা বাড়ি ফেরার পথে ডাইনছড়ি পশ্চিম পাড়ার আবদুল কাদের ফরাজী ও আলেয়া বেগমের পুত্র মোটরসাইকেলচালক মো. আবদুল করিম (৩৫) ওই নারীকে মোটরসাইকেলে উঠতে বলেন। এতে নির্যাতিত নারী ভাড়া না থাকায় হেঁটে যাবেন বলে জানালে কাদের তাকে ভাড়া দিতে হবে না বলে গাড়িতে তুলে নিয়ে নির্জনে নামিয়ে ধর্ষণের উদ্দেশে শ্লীলতাহানি বা যৌনপীড়নের চেষ্টা করেন। এতে নির্যাতিত নারীর চিতকারে লোকজন ছুটে আসলে বখাটে পালিয়ে যায়।
পরে বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিত নারীর স্বামী রাজু ত্রিপুরা ইউপি সদস্য মানিক ত্রিপুরাকে অবহিত করেন এবং রাতে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ নির্যাতিত নারীর বক্তব্য শুনে রাত সাড়ে ১২টায় অভিযোগ আনলে নেয় এবং শ্লীলতাহানি/যৌনপীড়ন করার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত /২০২০) এর ১০ ধারায় মামলা রুজু করেন।
এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত বখাটে মো. আবদুল করিমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। শুক্রবার বিকেলে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে ।
এসএস