ফরিদপুরঃ মধুখালী উপজেলায় শীত মৌসুমে শুরু হওয়া খাঁচায় মৌ-চাষ (মধু চাষ) বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখানে খাঁচায় উৎপাদিত খাঁটি মধু যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। মৌমাছিরা এখন কালোজিরা ও ধনিয়া ফুল থেকে মধু আহরণে বেজায় ব্যস্ত। উপজেলার দিগন্ত বিস্তৃত মাঠজুড়ে কালোজিরা ফুল ফুটেছে। সরাসরি না দেখলে সেই মনোরম সৌন্দর্য উপলব্ধি করা কঠিন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে উপজেলার বিভিন্ন মাঠের পাশে বানিয়েছেন বক্সে চাষ করছেন মৌমাছি।
সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মৌ-চাষীরা খাঁচা থেকে মধু সংগ্রহ করছেন। নওপাড়া, পরীক্ষেতপুর, গাজনা, হাটগোপালদী এলাকার বিভিন্ন ক্ষেতের চারপাশে চলছে খাঁচায় মৌমাছির চাষ।
গাইবান্ধা জেলা থেকে আসা মধুচাষী মাহমুদুর রহমান মুকুল বলেন, ১ মাসের মত হলো আমরা ৬ জন এখানে এসেছি। এখন কালোজিরা ও ধনিয়া ফুলের মধু সংগ্রহ করেছি। প্রায় ৪০ দিন পর ৩৫০টি বক্সে থেকে মাত্র দের মন মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুল কম থাকায় এ বছর মধু গত বছরের তুলনায় কম। এখানে শেষ হলে আমরা দিনাজপুরে লিচু ফুলের মধু সংগ্রহে চলে যাবো। এক কেজি খাঁটি মধু বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়। দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসাবে বলেন, মধুতে কোনো প্রকার ভেজাল নেই বলে মৌ-চাষীরা দাবি করেন।
দেশে-বিদেশে কালোজিরা, সরিষা, ধনিয়া, সরিষা, আম সহ বিভিন্ন ফুলের মধুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি, শিল্প কারখানায় মধু বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আলভীর রহমান বলেন, খাঁচায় মৌ-চাষ এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরেই শীত মৌসুমে মধুখালীতে মৌচাষিরা বিভিন্ন জেলা থেকে এসে অস্থায়ী ভাবে মৌ চাষ করেন। মৌ-চাষ দেখে এলাকার অনেক যুবক মৌ-চাষে আগ্রহী হচ্ছে। ফুলে ফুলে মৌমাছির মধু আহরণে সরিষার পরাগায়ন ক্ষমতা বাড়ছেও বলে জানান তিনি।
সালেহীন সোয়াদ সাম্মী/বুইউ