একের পর এক বিয়ে করে শ্বশুরবাড়ি থেকে হাতিয়ে নিতেন টাকা

জেলা প্রতিনিধি, জয়পুরহাট জানুয়ারি ২৭, ২০২৩, ১২:২৮ পিএম

জয়পুরহাটঃ প্রতারণার মাধ্যমে ছয় বিয়ে করে অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মেহেদী হাসান (২৮) নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। এই ঘটনায় পাঁচ ভুক্তভোগীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে জয়পুরহাট র‍্যাব-৫ ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো. মোস্তফা জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মেহেদী হাসান সদর উপজেলার কেন্দুলী গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে।

জয়পুরহাট র‍্যাব-৫ ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো. মোস্তফা জামান জানান, মেহেদী হাসান, আব্দুল লতিফ (২৫) ও মিন্টু (২৪) পেশাদার প্রতারকচক্র। তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নিজেদের ঠিকাদার, বালুমহলের ইজারাদার এবং অনেক বিত্তশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিত। বিভিন্ন এলাকায় ভুয়া কাবিননামার মাধ্যমে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছ থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে সেই এলাকা ত্যাগ করে অন্য এলাকায় গিয়ে আবার একই কাজ করা তাদের পেশা। চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের ভাই, আত্মীয় বা সাক্ষী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিয়ে করতো। এভাবে মেহেদী পাঁচটি বিয়ে সম্পন্ন করেছে। বিষয়টি নিয়ে মেহেদীর পঞ্চম স্ত্রী মেফতাহুল জান্নাত জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্পে ২০ জানুয়ারি অভিযোগ করে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায় র‍্যাব।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ষষ্ঠ শ্বশুরবাড়ি জামালপুর এলাকায় পঞ্চম স্ত্রী মেফতাহুল জান্নাতসহ তার বোন, ভাগনে ও মাকে আটকে রেখে নির্যাতন করছে এমন অভিযোগ আসে র‍্যাবের কাছে। অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মেহেদীকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে আটকে রাখা পঞ্চম স্ত্রী মেফতাহুল জান্নাত, রুমি পারভিন, শাশুড়ি শামিমা আক্তার এবং পঞ্চম স্ত্রীর দুই বাচ্চাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ সময় প্রতারক চক্রের অন্য দুই সদস্য লতিফ ও মিন্টু পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট জেলার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।

বুইউ