পঞ্চগড়ে টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড় জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ১১:৩৪ এএম

পঞ্চগড়ঃ টানা শৈত্যপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছেন উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ। হিমালয় পর্বতের কাছাকাছি হওয়ায় এ জেলায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গতকালের চেয়ে সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেও অব্যাহত রয়েছে শৈত্যপ্রবাহের দাপট। সকাল থেকে ঘন কুয়াশা না থাকলেও হিমেল হাওয়ায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। টানা শৈত্যপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছেন সীমান্তবর্তী এ জনপদের সাধারণ মানুষ।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ কেন্দ্রের পর্যেবক্ষক রোকনুজ্জামান বলেন, আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ দিকে ভোর থেকে হঠাৎ কুয়াশার মাত্রা ও শীতের দাপট বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে এ জেলায় হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশা ছিল। মিলছে না সূর্যের দেখা। কনকনে শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতের কারণে তারা সময় মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না।

আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শীতার্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বির্পযস্ত করে তুলেছে। শীত প্রকোপে বেড়েছে নানান শীতজনিত রোগ। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। জেলা সদর ও উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, জেলায় গতকালের তুলনায় সামান্য তাপমাত্রা বেড়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৬ জানুয়ারি থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। জেলার ওপর দিয়ে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। 

বুইউ